এই বাংলার নদী, মাটি, জলে, বাতাসে আমার পূর্ণ অধিকার।
আছে জাম,কাঁঠাল,লিচু, পেয়ারা, শটিবনের ওই হলদে ফুলের ভেতর।
লাল রঙের ওই কৃষ্ণচূড়ার ভেতরে খুঁজে পাবে তুমি আমার রক্তের লাল রঙ।
খুঁজে পাবে সদ্য প্রস্ফুটিত গোলাপের প্রতিটি স্তবকে।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।
বাংলার প্রতিটি পল্লবে, ফুলে, ফলে, আমার পূর্ণ অধিকার।
ইচ্ছে হলেই আমি প্রজাপতির ডানায় ভর দিয়ে উড়ে যেতে পারি
গহীন কোনো বনের মাঝে।
কিংবা সাঁতরে পেরোবো স্রোতস্বিনী নদীর ঘাটে।
কে বাধা দেবে আমায়? কার এত তীব্র সাহস।
কেউ পারবেনা, এসবে আমার পূর্ণ অধিকার।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।
ওই কাঁচা হলুদের ঘ্রাণে মিশে আছে দেখ আমার অধিকারের গন্ধ,
বাংলার প্রতিটি বালু কণা, খড়, বিচুলিগাদার মাঝে।
এই অবারিত সবুজ ধানক্ষেতের প্রতিটি ধানের শীষে,
সুজলা-সুফল, শস্য-শ্যামলা এই বাংলায়,
আমের মুকুলের তীব্র গন্ধে আমার পূর্ণ অধিকার।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।
শালিক, ময়না, ঘুঘুর ডাকে খুঁজে পাবে তুমি
আমার অধিকারের গান।
পাবে কচুরিপানার আড়ালে দাড়ানো
সাদা বকটির পাখায়।
বসন্তের কোকিল গান গাইবে আজ আমার তরে
কোকিলের সুমধুর কণ্ঠে আমার পূর্ণ অধিকার।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।
যদি কখনো আমি নি:স্ব হয়ে পথে পথে ফিরি,
ক্ষুধার জ্বালায় কাতর হয়ে ছুটে বেড়াই দিগ্বিদিক,
তবুও বট গাছটির তলে আমি ছায়া খুঁজে নেবো,
পাবো বাতাসের প্রশান্তি, আকাশ থেকে নেমে আসা বৃষ্টি।
আমাকে কেউ আটকাতে পারবেনা, এসবে আমার পূর্ণ অধিকার।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।
যদি চাল হীন হয়ে পড়ি কখনো, খুঁজে ফিরি একটুখানি মাথা গুজার ঠাই।
তুমি দেখে নিয়ো, হাজারো তারা, চাঁদে ঢাকা বাংলার আকাশ দেবে আমাকে আশ্রয়।
জ্যোৎস্নার চাঁদরে ঢেকে যাবে নি:সঙ্গতার ভাব।
বাংলার চাঁদ, তারা, জোৎস্নায় আমার পূর্ণ অধিকার।
কারণ আমি এই বাংলার সন্তান।