পৃথিবী চেয়ে থাকে, কিন্তু দেখে না,  
শুনতে পায়, কিন্তু শোনে না।  
ফিলিস্তিন জ্বলছে, শিশুরা মরছে,  
রক্তে ভেসে যাচ্ছে শহর,  
আর সভ্য দুনিয়া মুখ ফিরিয়ে আছে—  
যেন কিছুই ঘটেনি, যেন এটাই স্বাভাবিক!  

কিন্তু আর নয়!  
এই নীরবতা মানে হত্যার সহায়তা,  
এই চুপ থাকা মানে রক্তপিপাসুদের হাত শক্ত করা!  
তারা আগুন দিচ্ছে ঘরে, বোমা ফেলছে স্কুলে,  
নিথর পড়ে আছে ছোট্ট শরীর,  
যার নাম ছিল আশা, যার চোখে ছিল স্বপ্ন।  

হাসপাতাল আছে, কিন্তু চিকিৎসা নেই,
রোগী আছে, কিন্তু ওষুধ নেই।
রক্ত ঝরছে, আর তাদের হাতে নেই ব্যান্ডেজ,
অপারেশন থেমে গেছে, কারণ নেই জ্বালানি!  
মৃত্যুই যেন এখন একমাত্র চিকিৎসা,
কারণ বাঁচার সুযোগটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমারা চায় ক্ষমতা,  
ইসরায়েল চায় দখল,  
আর ফিলিস্তিনের মানুষ শুধু চায় বাঁচতে।  
কিন্তু বাঁচার অধিকার কি সবার জন্য সমান?  
নাকি পৃথিবীর মানচিত্রে কিছু প্রাণের মূল্য নেই?  

বিবেক কি ঘুমিয়ে থাকবে চিরকাল?  
গাজার কান্না কি বাতাসে হারিয়ে যাবে?  
নাকি আমরা জেগে উঠব?  
নাকি আমরা বলব—আর নয়!  

এই আগুন একদিন তাদের হাতেও লাগবে,  
এই রক্তের দাগ একদিন তাদের চেহারায় বসবে!  
তাই নীরবতা ভাঙো! প্রতিবাদ করো!  
গাজার আকাশে আগুন জ্বলছে,  
তাদের কান্নাকে আওয়াজ দাও,  
তাদের রক্তের বদলা নাও!  
"আর নয় নীরবতা—এবার প্রতিরোধ!"