হে বন্ধু, তোমার জ্যোতিরে হারায়
এ ধরায়
নাইকো এমন উজ্জ্বল কিছু,
তুমি যবে যাও চলে
হেন কালে
মঙ্গল সবে যাক পিছুপিছু।

পান্ডুর যবে ধরণী হবে
অভিনবে
তুমি বেঁচে থেকো সগৌরবে,
দিঙমূঢ় সব বেহুশ জনতা
রেখো না তা
মনে। দিগ্বিদিক রবে গীত তোর স্তবে।

বুভুক্ষ মনে রেখো সদা পণ,
এ জীবন
যায় যাক তা ঝরে,
অবনীপরে তব কীর্তি রেখো
চেয়ে দেখো
সমুন্নত রবে সৃষ্টি পরে।

আমার এ গান তোর লাগি
এ অভাগী
কি আর তোরে দিতে পারে,
হে মনোরম হে চঞ্চল
শতদল
সম রাখি অন্তরে।

যে বসন্তে যে ঊষা ক্ষণে
তোর মনে
জেগেছে প্রেম, জ্বলেছে আলো,
ছায়াপথ-নীহারিকা-ত্রৈলোক্যে
একবাক্যে
জেগেছে মায়া, ঘোচেছে কালো।

আঁধারের বক্ষভেদী আলোকরাশি
উচ্চহাসি
পলে পলে যে সুর তুলেছে,
সমগ্র প্রাণপরে তারই দান
জয়গান
পরোক্ষে তোরই নাম ঝুরেছে।

কি যে মায়ায় ভুলানো ধরণী এখন
আয়োজন
হোক প্রতিক্ষণে বেঁচে থাকার,
যে দিন খেলা সাঙ্গ হবে
এই ভবে
জানি নাম লেখা রবে তোমার-আমার।