পুরুষের আরেক নাম পশু
মোজাম্মেল সুমন
পৃথিবী বেশ্যাখানার মতো বীর্যের প্রপাত,
ধর্ষণ প্রতিধ্বনিতে ধর্ষিত রাঙা প্রভাত ।
নিজের ছেলের হাতে মাতা হচ্ছেন ধর্ষিতা,
বাবার হাতে ধর্ষিতা হচ্ছে আপন দুহিতা ।
ভাইয়ের হাতে বোনটার পরিচয় ধর্ষিতার,
মামা-চাচার কাছেও ভাস্তি ভাগনি বলাৎকার ।
ফুলের মতো নিষ্পাপ মেয়ে শিশুটিকে ধরে—
সভ্যতাটাকেও পাল্টে দেয় যোনি দু-ভাগ করে!
বিদ্যাগুরু শিক্ষকের শিক্ষাদান করা কাজ,
ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আড়ালে রাখে সলাজ ।
ফের বন্ধুরা বান্ধবীকে পড়ার কৌশলে ডাকে,
পালাক্রমেই ধর্ষণ করে সুযোগের ফাঁকে ।
অন্যবাড়ির কাজ করা খুব অভাবী মেয়ে আছে,
তাদেরও ধর্ষিতা হতে হয় গৃহপ্রভুর কাছে ।
প্রতিবন্ধী মেয়েটিও ধর্ষিতা হয় এই সমাজে,
মানুষ নামের পশুগুলো সবচে নোংরা বাজে ।
পথের ধারে পাগলিও ধর্ষিতার বলি রাতে,
নারী ধর্ষিত চলন্ত বাসে— পুরুষের হাতে ।
বাপ-মাকে বেঁধে মেয়েকে ধর্ষণেই মাতোয়ারা,
স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে ধর্ষণ— পুরুষ দ্বারা ।
যেখানে সেখানে নারী ধর্ষিত— খবরে পাই,
পুরুষের আরেক নাম পশু— বলতে দ্বিধা নাই ।
'লিঙ্গ কর্তন' আইন হোক সব ধর্ষকের তরে,
'পুরুষ তোরা মানুষ হ' নারীকে শ্রদ্ধা করে ।