কাঁচাআমের ভালোবাসা
মোজাম্মেল সুমন
আমার আত্মার প্রেমিকার মতো নেই আর কোনো মেয়ে,
আমি সার্থক প্রেমিক তাঁর ভালোবাসার পরশ পেয়ে ।
বৈশাখ মাসের বিকেলবেলায় করলো আমায় নিমন্ত্রণ,
তাঁর এই ভালোবাসা পেয়ে ভরলো আরও জীবন তোরণ!
নদীর ধারে বাঁশবাগানে আসতে বললো ভালোবেসে,
ঝিরঝির বাতাস বইবে; গায়ে লাগবে ঈষৎ আলো এসে!
বিকেলবেলা যথাসময় পৌঁছে গেলাম নদীর ধারে,
ভালোবাসার অপেক্ষাতে ভালোবাসা তুমুল বাড়ে ।
খানিকবাদে এলো সে যে লজ্জামাখা হাসি দিয়ে,
বুকের ভিতর ফুরফুরে ভাব হতে থাকে তাঁকে নিয়ে ।
আমার কাছে এসে বসলো! হাতে কাঁচা আম দুতিনটে,
তাঁকে আমি ভালোবেসে দিলাম অবিরাম ফুঁ তিনটে!
কাঁচামরিচ ও লবণ যেই সে বাটিতে গেলো মাখতে
বললাম তাঁকে হাততালুতে শুধু লবণটুকু রাখতে!
কাঁচা আমে কামড় দিয়ে 'ইশ' বলি যে খেটেখুটে,
মরিচ কামড়াই! হাতের তালুর লবণ খাই যে চেটেপুটে!
আমার জিভ তাঁর হাততালুতে যেই না একটু ঘষা লাগে
সে যে শিউরে ওঠে! ভালোবাসার অনুভূতি জাগে!
ঝাঁললবণের কাঁচাআম সেও খেলো একটু একটু করে,
বৈশাখী রূপ তাঁর দেহেতে! দেখি আমি দুচোখ ভরে!
ঝাঁলের দরুন তাঁর দুগালে লালচে রূপের আভা ওঠে,
কাঁচাআমের ভালোবাসায় আমার চুম্বন যায় তাঁর ঠোঁটে!
এই কী করছো? দেখবে তো কেউ! দাও না গো আর একরত্তি!
আচ্ছা ছাড়ো! বাড়ি যাবো! বিয়ের পরে সব! একসত্যি!