ফিদা
মোজাম্মেল সুমন
তোমাকে ভালোবাসি বলেই ফ্যালফ্যাল করে তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি,
বাসন্তী প্রেমের উচ্ছলতায় একান্ত কাছে পেতে ফিসফিস করে তোমায় ডাকি।
আমি তোমার চোখের দিকে ভ্যালভ্যাল করে অনিমেষে তাকিয়ে রই চুপ,
নিরলসভাবে অত্যন্ত প্রেমাগ্রহে পূর্ণিমা চাঁদের মতোন দেখি তোমার রুপ।
আমরা সমুদ্রতীরে সূর্য ও গোধূলির অভিসার দেখবো ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে,
তোমার অবাধ্য চুলগুলো আমার নাকে মুখে পড়ে প্রেমানুভূতি দিবে বাড়িয়ে।
দুহাত প্রসারিত করে মুহুর্তেই তোমাকে আঁকড়ে ধরবো আমার তৃষার্ত বুকে,
তুলোর পাহাড়ের সংস্পর্শে আমার হৃদপিন্ডের সমস্ত ধকধকানি যাবে চুকে।
অমাবস্যার মতো অন্ধকারে নয় বরং প্রকাশ্য দিবালোকে চাই চুম্বন করতে,
কিংবা তোমার সদ্য পূর্ণযুবতীর শরীরী গন্ধে মাতাল হয়ে চুলের মুঠি ধরতে।
তোমার চোখের কাজলকে প্রেমের দেবী করে রাখবো ভালোবাসার সাধনায়,
কিন্তু তোমার ঠোঁটের কাজলকে বারবার নষ্ট করবো মাতাল প্রেমাগ্নি যাতনায়।
প্রেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা পেতে চাই তোমার প্রেমময় দেহের প্রতিটা ভাঁজে,
স্পর্শে ভূমিকম্প আনবো আর তুমি লজ্জাবতী গাছের মতো নত হবে লাজে।
আমি ভালোবাসায় কামড়ে দিতে চাই তোমার অস্পর্শী বুকে প্রেমোর্বর ভূমিতে,
ঠিক যেভাবে রৌদ্র এসে কামড়ে দেয় জলের তরল দেহকে প্রেমাদরে চুমিতে।
কোনো এক কিশোরী পাহাড়ের যুবতি ঝর্ণার জলে যুগল স্নান হবে আমাদের,
আমি ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকবো তোমার ভেজা শরীরে, মানা থামাদের।
নাভিসমুদ্রের ইন্দ্রজালিক অনুভূতির প্রতিটা প্রহর কখনো ঝাঁল কখনো মিঠে,
আমি ভালোবাসার রঙিন মানচিত্র এঁকে দিবো তোমার সমতল খোলা পিঠে।
আমি তোমার প্রতিটা আঙুলে আঙুল রেখে নিমজ্জিত হবো প্রগাঢ় নিঃশ্বাসে,
তোমার একজোড়া ঠোঁটে নিখুঁতভাবে প্রেমের রক্তজবা ফোটাবো পরম বিশ্বাসে।
হুমায়ূন আজাদের আঠারোর কিশোর হয়ে শিউলির বোঁটা থেকে রস চুষে নিবো,
তোমার প্রেমোত্তপ্ত দেহে অনুভূতির শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিবো।
রাত্রি নামলে উন্মুক্ত আকাশের নিচে জ্যোছনার জলে স্নান করবো দুজন,
ভালোবাসা আর হৃদয়ের দরদ দিয়ে রাঙাবো আমাদের স্বপ্নাবিষ্ট ভুবন।
কখনো কোনোদিনই কোনোভাবেই নিঃশেষিত হবে না ভালোবাসার খিদা,
আমি তোমাকে অক্সিজেনের মতো ভালোবাসি, তোমাতেই হয়ে গেছি ফিদা।