ঈদুল আযহা
মোজাম্মেল সুমন
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুটি,
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নামে পাই জুটি।
রোজার আনন্দ হিসেবেই ঈদুল ফিতর জানি,
ঈদুল আযহা অনুপম ত্যাগেরই মহিমা মানি।
ইব্রাহিম (আঃ) প্রিয়পুত্রেরই মায়া ত্যাগ করে,
খোদা আদেশে ইসমাঈলের গলায় ছুরি ধরে।
আল্লাহভীতিতে ইব্রাহিমের (আঃ) আসে জয়,
শিশু ইসমাঈলের পরিবর্তে দুম্বা কুরবানি হয়।
নিজের আত্মাকে পবিত্র করা ইমানের দীক্ষা,
ত্যাগে বিলিয়ে দেওয়াই ঈদুল আযহার শিক্ষা।
মুসলিমদের জন্যে ঈদুল আযহার জোরবাণী,
মনে লালিত পশুত্বকে করতে হবে কোরবানি।
জিলহজের দশ তারিখে ঈদুল আযহার দিন,
পবিত্র ঈদের হাসিখুশি যেনো আনন্দের বীণ।
সকালে নাস্তা মিষ্টান্ন খেয়ে ঈদগাহ মাঠে দাঁড়াই,
আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনায় দুটি হাত বাড়াই।
ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করি সবাই,
ধনীগরিবের মাঝে আনন্দে সৌহার্দ্য জমাই।
হিংসা বিদ্বেষ রাগ অহংকার ক্ষোভ যাই ভুলি,
সবার মুখে ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক বুলি।
'বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার' পশু কুরবান,
আল্লাহর আরশে তারিফ জয়ধ্বনি সুরতান।
সঠিকভাবে কুরবানি মাংস বণ্টন করে দিয়ে,
তৃপ্ত রবো পরিবার আত্মীয় প্রতিবেশী নিয়ে।
ঈদুল আযহার আনন্দ থাকুক সকলের মনে,
সৃষ্টির সেবায় থাকবো স্রষ্টার ইবাদাতের সনে।
আলহামদুলিল্লাহ মহান রবের প্রশংসা করি,
শান্তির ধর্ম ইসলাম, দ্বীনের পথে জীবন গড়ি।