সিজারিয়ান দাগ
মোজাম্মেল সুমন
এক দুপুরে গোসলের পর তোমায় আমি বিছানাতে শুইয়ে রাখি ভীষণ চুপচাপ,
তোমার সকল লজ্জামাখা শরীরীরূপ আমার চোখে চুইয়া চুইয়া পড়ে টুপটাপ ।
তুমি সুন্দর আপাদমস্তক, অনুভব করি তোমায় মনের টানে আঁখিপাতে,
আলিঙ্গনে পরমায়ু সতেজ হতে থাকে, দুজন হাতের আঙুল রাখি হাতে ।
তুমি আমায় রাঙিয়ে দাও নেশাভরা চোখে থাকো যখন এলোমেলো চুলে,
আমি ভালোবেসে পরিতৃপ্তির ছোঁয়া খুঁজি তোমার সঞ্জীবনী ঠোঁটের কূলে ।
ভালোবাসা প্রতিদিনের ভালোলাগা চিরদিনের ভালোলাগা জানিয়ে দেয়,
তোমার তিলবুক, স্তনতিলের অনুভূতি আমায় পুরোদস্তুর প্রেমিক বানিয়ে দেয় ।
আমার চোখে শাশ্বতিকী সৌন্দর্যের রূপ হয়ে ফুটে ওঠে তোমার বুকের ম্যাপ ফুল,
আমি অবুঝ প্রেমিক কারণ তোমার স্তনবৃন্ত আমার কাছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ।
তোমার নিশ্বাস ভূমিকম্পের মতো গভীরভাবে আমার মনের ভিতর নাড়িয়ে দেয়,
তোমার নরম বুকের মাঝে আমার ঠোঁটের পরম সিজদা ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় ।
তোমার সিজারিয়ান দাগে রূপ কমেনি বরং আরও রূপমাধুরী বিকশিত,
তোমার প্রতি আগের মতো এখনও তাই আমার সরল মনের আবেগ নিকষিত ।
আমি ভালোবাসার রঙে রঙিন স্বপ্ন সাজাই তোমার সিজারিয়ান তনুদাগে,
তোমার নাভিবৃত্তে আমার কম্পিত ঠোঁট কেন্দ্রীভূত হতে থাকে অনুরাগে ।
তুমি আমি ভালোবাসার মিলনে এক পরিপূরক নিবিড় সুখে প্রবেশ করি,
মনকে ছুঁয়ে রতিপ্রেমের স্বর্গসুখের উপভোগ্য অনুভূতির প্রদেশ গড়ি ।
ভালোবাসার মানুষ তুমি, সিজারিয়ান দাগও থাকবে ভালোবাসায় পরিচিত,
তোমার আমার সংসারিপ্রেম পারস্পরিক বোঝাপড়ায় অটুট কিংবা পরিমিত ।