ভিক্ষুক
মঈন তাজ
জীর্ন শীর্ন ঐ যে লোকটা বিদীর্ণ থালা হাতে,
দু'বেলা দুমুঠো ভাতের তরে দ্বারে দ্বারে হাত পাতে।
এখানে ওখানে বিষন্ন মনে ঘুরে ফিরে সারাক্ষণ,
উৎসুক চোখে চেয়ে চেয়ে দেখে জলে ভিজে দু নয়ন ।
কত কৌশলে কেঁদে কেঁদে বলে দাও কিছু বাবা মোরে,
দু চারটি টাকা দিয়ে যাও বাবা আমার ক্ষুধার তরে।
ময়লা ছেঁড়া শত তালি মারা গায়ের জামা খানি,
এ দ্বারে ও দ্বারে হাত পেতে ফিরে বাড়ে জীবনের গ্লানি।
কত জনে করে দু পয়সা দান কত জনে ধিক্কার,
কর্ম করে খাওগে গিয়ে ঝুলি কেন ভিক্ষার?
বিকলাঙ্গ ভাঙা অঙ্গ দেখে যাও বাবা ওরে,
কর্ম করিতে পারিলে কি বাবা খাই কি ভিক্ষা করে?
ভিক্ষার ঝুলি শুনি কত গালি ঘৃনা করে কত জনে,
বাঁচার তরে ঘুরি দ্বারে দ্বারে যন্ত্রণা বাড়ে প্রাণে।
সারাদিন শেষে ভাবে বসে বসে সয়না এ অপমান,
ভাবে ঐ মন কেন এ জীবন করিলেন খোদা দান।
কষ্ট আছে তাদেরও মাঝে যদিও সে ভিক্ষুক,
মানুষের তরে মানুষের প্রেম হোক সদা জাগরুক।
ধনী গরীব বাদশা ফকির ক্ষনিকের ব্যবধান,
তুমি জ্ঞানী গুনি মহা সম্মানী মহান খোদার দান।
বিনম্র স্বরে হৃদয় ভরে শুকরিয়া করো তাঁর,
ঐ বিধতা দানিয়াছে ধন করিয়াছে সুন্দর।
কভু কোন খানে মানুষের প্রতি নাহি করি অবিচার,
শুধু নিজ সুখে হরন না করি মানুষের অধিকার।
ঢাকা
২৭/০৪/১৯