দুই ধারে পাহাড় আর মাঝখানে নদী
উবাঙ্গী নাম তার চলে নিরবধি,
খরতর বয়ে আসে পাহাড়ের ঢল,
অজানায় বয়ে চলে তার ঘোলা জল।
ছোট ছোট ডিঙ্গায় মাছ ধরে জেলে,
কেউ কেউ ধরে মাছ বাঁকা ছিপ ফেলে।
কেউ কেউ বালি তুলে নদী তল থেকে,
ছোট ছোট নৌকায় পাড়ে যায় রেখে।
দুই পাড়ে দুই দেশ এক নদী জল,
তার মাঝে দ্বন্দের নেই কোলাহল।
উবাঙ্গী নদী তীরে বাঙ্গী শহর,
আর পাড়ে কঙ্গো করেছি ঠাহর।
মিলেমিশে আছে ওরা বসতি গড়ে।
এইভাবে আছে ওরা বহুকাল ধরে,
নদী পাড়ে মানুষের শুরু বসবাস,
যুগযুগ ধরে আছে এই ইতিহাস।
নদী আর মানুষের প্রেম অমলিন,
যদিও মানুষ তারে করেছে মলিন।
সবুজের সমারোহে দুই ধার ঘেরা,
তার মাঝে দেখা যায় ছোট ছোট ডেরা।
নদী ধারে গিয়ে আমি বসি কিছু ক্ষণ,
তার শোভা দেখে দেখে জুড়ায় নয়ন।
নীলাকাশ এসে নামে পাহাড়ের গায়,
পাহাড়ের ঢল এসে নদীতে মিলায়।
পাহাড়ের বুকে নদী ঘন ঘেরা বন,
সৃষ্টির কত রূপ দেখে ভরে মন।
সূর্যটা ডুবুডুবু উবাঙ্গী তীরে,
বকপাখি উড়ে যায় আপনার নীড়ে।
আঁধার ঘনিয়ে আসে পাহাড়ের গায়ে
আমিও এলাম ফিরে খুব ধীরে পায়ে।

১৭ নভেম্বর ২৪
বাঙ্গী, মধ্য আফ্রিকা