রেলগাড়িতে চলছি ছুটে মাঠের পরে বন পেরিয়ে,
সবুজ মাঠে কৃষক হাঁটে মনটা আমার যাই হারিয়ে।
সিলেট থেকে ঢাকার পথে যাচ্ছি চড়ে উপবনে,
খাচ্ছি ভাজা লাগছে মজা যাচ্ছি সবাই খুশি মনে।
পাহাড় ঘেরা লাউয়াছড়া ট্রেন ছুটে যায় বুক চিড়ে তার,
চোখ ফেরেতো মন ফেরেনা দেখতে থাকি রূপের বাহার।
চা বাগানে হৃদয় টানে চিরহরিৎ চায়ের পাতা,
মনের সুখে কাব্য লিখে পূর্ণ করি মনের খাতা।
দুটি পাতা একটি কুঁড়ি তুলছে মালি ভরছে ডালি,
অপুষ্টিতে ভাঙা দেহ ছেঁড়া জামা পেটটি খালি।
ক্ষুধার পেটে জীবন কাটে রূপ দেখে তাই বলতে পারি,
অল্প দামে অধিক শ্রমে চলছে জীবন অধিক ভারী।
হরিৎ বনে পুলক মনে ডাকতেছিলো পাখপাখালি।
লেজ নাচিয়ে বুক উঁচিয়ে নাচতেছিলো কাঠবিড়ালি,
ঐ সুদূরে পাহাড় চূড়ে দেখতেছিলাম রূপের ধারা,
সুনীল আকাশ হালকা বাতাস রূপ ছিলো তার নজর কাড়া।
খানিক দূরে নজর পড়ে কচুরিপানা ফুলের উপর,
ফুলের সাথে মজায় মাতে মৌমাছিদের কী সমাদর?
নদীর পরে পুলের উপর ঝন্ ঝনাঝন্ বাজনা বাজে,
মন আবেগে আপন বেগে চলছে গাড়ি খোশমেজাজে।
খানিক চলে শ্বাসটা ফেলে থামছে গাড়ি স্টেশনে,
একটু পরে চলছে জোরে ছুটছে গাড়ি আপন মনে।
লম্বা মোটা রেলগাড়িটা পথ ছিলো তার আঁকাবাঁকা,
ট্রেনে চড়ে মজা করে সিলেট থেকে এলাম ঢাকা।
১১/১১/২২
উপবন এক্সপ্রেস