মহাবিদ্রোহী বীর
মঈন তাজ
বিদ্রোহী তুমি বিদ্রোহী মহাবিদ্রোহী বীর,
তব হুংকারে অত্যাচারী হয়েছিল অস্থির।
সাম্যবাদের প্রদীপ জ্বেলে খড়্গক্রীপান হাতে,
প্রতিবাদে সোচ্চার তুমি তোমার কবিতাতে।
মানুষে মানুষে নেই ভেদাভেদ গেয়ে সাম্যের গান,
বুকে বুক রেখে কোলাকুলি করে হিন্দু মুসলমান।
তাহাদের তরে গাহিয়াছ গান মুজুর মুটে ও কুলি,
আমৃত্যু কাল জপিয়াছ মুখে সত্য ন্যায়ের বুলি।
বিদ্রোহী তুমি বিদ্রোহী চির বিদ্রোহী বীর,
অত্যাচারীর বুকে তুমি হানিয়াছ বিষ তীর।
রংধনু হতে সাত রং আনি সাজিয়েছ তুমি রাণী,
তারার ফুলে বাঁধিয়া দিয়াছ প্রিয়ার খোঁপা খানি।
শিশু হইয়া মিশিয়া গিয়াছ কমল শিশুর সাথে,
বুলবুল হয়ে গাহিয়াছ গান বিষের বাঁশী হাতে।
মানব প্রেমের পাগল তুমি তোমার সকল কাজে,
প্রেমিক হয়ে মিশিয়াছ তুমি প্রিয়ার হৃদয় মাঝে।
সমাজের কত অসংগতি কত যে কদাচার,
দেখিয়ে দিলে আঙ্গুল দিয়ে হোক তার সদাচার।
বঞ্চিত বুকে সাহস যোগালে হতাশার বুকে আশা,
তপ্ত বুকে সান্ত্বনা দিয়ে দিলে তব ভালবাসা।
সৈনিক হয়ে করিয়াছ তুমি শত্রুর মোকাবেলা,
সয়নি তোমার উদার মনে মানুষের অবহেলা।
খুলিয়া দিয়াছ মানুষের যত বন্ধ বিবেক দ্বার,
সকলে সমান নেই জাতি ভেদ দিতে হবে অধিকার।
আজও তুমি উচ্ছ্বসিত মানুষের মনে প্রাণে,
তুমি চির জাগ্রত বীর তোমার কবিতা গানে।
বিদ্রোহী তুমি বিদ্রোহী বীর চির উন্নত শির,
সাম্য মৈত্রী মানুষের প্রেমে হয়েছিলে অস্থির।
কুপমুন্ডুক ধর্মান্ধ অসংযমী যত,
আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছ সমাজের সব ক্ষত।
বাংলার ঐ সাহিত্যাকাশে তুমি উজ্জ্বল তারা,
কবিতা প্রবন্ধ গজল গানে তুমি ছিলে মাতুয়ারা।
বিদ্রোহী তুমি বিদ্রোহী বীর তোমারে সদাই স্মরি,
অন্যায় আর অবিচারে আজ সমাজ গিয়াছে ভরি।
ঢাকা
২৫/০৫/১৯