মহান রবের মহিমা
মঈন তাজ
মহান রবের আদি অন্ত
কে পেয়েছে খুঁজি,
ক্ষুদ্র জ্ঞানে তাঁহার লীলা
কেমনে বলো বুঝি?
রঙ বেরঙের সৃষ্টি তাঁহার
মহাবিশ্ব জুড়ে,
পায়নি কেহ শেষ ঠিকানা
আকাশ পাতাল খুঁড়ে।
সে যে কতই রহস্যময়
নাই তো কারো জানা,
তাঁর হকিকত বুঝতে গেলে
চক্ষু হবে কানা।
রাজার ঘরে জন্ম কারো
কেউবা কুঁড়ে ঘরে,
কেউবা দিনে পাঁচ বেলা খায়
না খেয়ে কেউ মরে।
দিবসযামি ঘুরে কেহ
ভিক্ষা ঝুলি কাঁধে,
কেউবা আবার অঢেল থেকেও
দুঃখ ব্যথায় কাঁদে।
নানান রোগের নানান ওষুধ
দিলেন তিনি তথা
জন্ম দিলেন মৃত্যু দিলেন
দিলেন দুঃখ ব্যথা।
নানান দেশের নানান মানুষ
হাজার রকম ভাষা,
সাগর মাঝে জলের নিচে
লক্ষ প্রাণী ঠাসা।
অনিন্দ্য সব গাছগাছালি
সুমিষ্ট ফল কত,
রঙ বাহারি কত যে ফুল
দেখি মনের মত।
পাহাড় ঘেরা অরণ্য আর
ঝর্ণাধারা দেখে,
তাঁর মহিমার প্রতিচ্ছবি
হৃদয়ে যাই এঁকে।
কত রকম পাখপাখালি
জলে মাছের খেলা,
আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে
রাতে তারার মেলা।
জীব জানোয়ার পোকামাকড়
সৃষ্টি শত শত,
প্রজাপতির ডানায় ডানায়
রঙের বাহার কত।
ক্ষুদ্র জ্ঞানে রহস্য তাঁর
যায় কি ভাবা অত!
প্রশংসা তাঁর করতে গিয়ে
সিজদাতে হই নত।
সবুজ নরম কোমল ঘাসে
মৃত্তিকা টা ভরা,
নানান জীবের নানান আহার
কত মনোহরা।
মহান রবের রহস্য ভেদ
খুঁজতে গেলো যারা,
প্রশংসাতে তাঁহার ধ্যানে
পাগল হলো তাঁরা।
রহস্য ভেদ বুঝতে যারা
বিপথগামী হলো
অন্তঃকরণ বন্ধ হয়ে
অন্ধ পথে গেলো।
মহান প্রভুর রহম ছাড়া
বিশ্ব কি আর বাঁচে?
এতো কিছু জেনেও মানুষ
ভ্রান্ত পথে নাচে!
যশোর
০৭/০৮/২০