দূরন্ত শৈশব
মঈন তাজ

দূরন্ত শৈশব
মনে পড়ে যায় সেই ছেলেবেলা,
সকালে দুপুরে সকলে মিলে
করেছি কতনা খেলা।

শুনিনি আদেশ শুনিনি নিষেধ
পালিয়েছি স্কুল,
দিঘীর জলে কেটেছি সাঁতার
রোদে শুকাইছি চুল।

ছুটির ঘন্টা বেজেছে যখন
বাড়িতে গিয়েছি ফিরে,
অতি সাবধানে চুপচাপ থাকি
মা নাহি বুঝিতে পারে।

দুপুরবেলায় পড়তে বসেছি
মায়ের বকুনি খেয়ে,
বই খাতা ফেলে মিলেছি সকলে
আমের বাগানে গিয়ে।

নদী নালা খালে সবাই মিলে
মাছ ধরিয়াছি ঢের,
খুব ভোর বেলা কুড়িয়েছি জাম
পায়নাই কেহ টের।

বনেবাদাড়ে ঘুরেছি কতনা
দুষ্টু ছেলের দল,
উঁচু গাছের মগডালে উঠে
পেড়েছি কতনা ফল।

বাড়ী  ফিরে দেখি সারা বাড়ী ভরে
অভিযোগে সব ঠাসা,
কারো গাছে নাকি পাড়িয়াছি আম
ভেঙ্গেছি পাখির বাসা।

রেগেমেগে মায়ে আষ্টেপৃষ্ঠে
দিলো সে অনেক মার,
করিলো শাসন এই বাড়ী ছেড়ে
কোথাও যাবিনা আর।

শাসন বারন মানে কি তখন
দুরন্ত শৈশব,
দুষ্টু মিষ্টি একখানে গিয়ে
মিলেছি আবার সব।

লুকোচুরি আর গোল্লাছুট
খেলেছি কতনা খেলা,
বর্ষা এলেই উঠতো জমে
বৃষ্টি ভেজার মেলা।

ভর দুপুরে রোদে বাতাসে
খেলিয়াছি ডাংগুলি,
খুব গোপনে সবাই মিলে
খেলেছি কাঁচের গুলি।

শিক্ষক দেখে পালিয়েছি মোরা
খেলাধূলা সব ফেলে,
দেখে ফেলে যদি মাস্টার বাবু
মার দিবে স্কুলে।

ফুটবল আর ক্রিকেট নিয়ে
টুর্নামেন্ট যে হতো,
সবাই মিলে খেলা দেখার
হিড়িক যে পড়ে যেতো।

মারামারি সেই হতো যে কত
দুষ্টু ছেলেপিলে,
ক্ষনিক পরে যেতাম ভুলে
একখানে সব হলে।

কত যে কথা হয়রে মনে
দূরন্ত শৈশব,
হাসি কান্নার কত যে স্মৃতি
মনে পড়ে যাই সব।

ঢাকা
২৭/০৫/১৮