চাষীর কষ্ট
মঈন তাজ


ধান ফলিয়ে কৃষক যখন ফেলছে চোখের পানি।
পানি বেচে শিল্পপতি হচ্ছে তখন ধনী।

কাদা জলে ভিজে যারা ফলায় সোনার ধান।
হায়রে আমার সোনার দেশে নেইকো তাদের মান।

কষ্ট করে ফসল ফলায় মনে অনেক আশা।
চোখের জলে ফসল ভিজে নেইতো বলার ভাষা।

বুকের দরদ ঢেলে চাষী ফসল ফলায় মাঠে।
সেই ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়না চাষী হাটে।

ফসল ফলায় বর্গাচাষী মাথায় ঋণের বোঝা।
দেনার দায়ে মরছে কেহ পাচ্ছে কেহ সাজা।

সন্তান সম মায়া দিয়ে ফসল ফলায় হাতে।
কত দুঃখে কত কষ্টে আগুন লাগায় তাতে।

যারা মুখের অন্ন যোগাই দেইনা তাদের মান।
চাষাভুষা বলে তাদের করি অসম্মান।

অসহায় ঐ চাষীর ব্যথা কেউতো নাহি বলে।
ন্যায্যমূল্য চাইনা দিতে ঠকায়  নানান ছলে।

শীত গ্রীষ্ম বর্ষাকালে ভিজে কাদা জলে।
কৃষক জানে কত কষ্টে সোনার ফসল ফলে।

নিবেদিত প্রাণ যে তাঁরা দেশ ও মাটির তরে।
তাঁরাই আসল খাঁটি মানুষ মানবজাতির ঘরে।

সহজ সরল মন যে তাদের নেইতো কুটিলতা।
সবার মুখের অন্ন যোগাই নেইতো পঙ্কিলতা।

তুমি বসে খাচ্ছ যে ভাত ঠান্ডা হাওয়ার ঘরে।
ভেবেছ কি ভাত বানাতে রক্ত কত ঝরে?

বিন্দু বিন্দু ঘামের হিসাব দিতে হবে ওরে।
ন্যায্য পাওনা থেকে যদি বঞ্চিত করো তাঁরে।

ঢাকা
১৬/০৫/১৯