শুভংকরের আগুনে পুরছি যতখানি,
সেই আলোতে আলোকিত হোক তোর জীবনদানী।
চোখের আড়ালে হৃদয়ে বাড়ছিস তিলেতিলে,
শত ক্ষরনে আগলে আছি এইটুকু সব ভূলে।
ছোট ছোট আঙ্গুল আর তুলতুলে গাল,
হাসির মাঝে দাঁত দুটো জ্বলছে অবিচল।
চোখের পলকগুলো অবিরাম চঞ্চল,
তুই তো আমার বৃত্তির দুষ্টের দল।
বারংবার হাতটি বাড়িয়েই চাই তোকে ছুতে,
যাতনা অতিক্রমের নিদিরুন উত্তাপে।
স্বপ্নের কোনে,
কোন একদিন হাতটা ধরে বল-
আমি তোমার ছোট্টটি
যাক যেথায় যত অব-রোহ আস্তাচল।
এ জগতে জগতবাসি যতটা আপন জ্ঞান,
নিজের বাইরে মনটা বোঝে- কোন সে আপনজন?
সব কেটে সব পাবার এই বিশ্ব মতে,
আপন অস্তিত্বের টান চরম সংকটে।
জীবনের শিক্ষা তোকে শিখিয়ে যেতে চাই-
ভালো হবে যা আছে তা নিয়ে সুখে থাকাই।
হেসে যাবি হাসিয়ে যাবি থাকুক যত কষ্টবোদ,
ভালবাসা দিয়ে রুখতে হবে অনির্বান বিপদ।
ফলাফল শূন্য জেনেও দায় না এড়াস,
তবেই মনের সফলতা, নয় কোন দীর্ঘ্যশ্বাস।
দ্বায়িত্ব আর পরিশ্রম জীবনের উল্লাস,
সত্যের পথে থেকেই মিথ্যার বিনাশ।
মনে রাখিস-
তোকে ছাড়া এ আমার মৃত মহাদেশ।
তোর হাসির কলরব,
শূন্য মরুদ্দানে জীবনের সমাবেশ।
যতবার হই ভ্রান্তিপদী কিংবা নিরুদ্দেশী,
তোর জন্য আমি আছি, আমি আছি।
★নভেম্বর, ২০১৯