সুবোধ, জেগে আছিস.?
সময়টা তোর পক্ষে যাচ্ছে না রে।
সুবোধ কি ঘুমিয়ে গেলি.?
সময়টা আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না রে।
ওরা কিন্তু সদা জাগ্রত।
আমরা তবে জেগে থাকার ভান করে গভীর ঘুমে কাতর।
তন্দ্রা ভেঙে অকস্মাৎ ঘুমিয়ে পড়ি আবার।
আঁধার রাত্রি, আঁধার ভবিষ্যৎ।
চোখ দুটো একই অন্ধকারে।
সুবোধ, কবে হবে ভোর.?
সুবোধ.?
সুবোধ, কিছু তো বল।
সুবোধ কি পালিয়ে গেলি.?
সুবোধ'দের কি পালাতেই হয়.?
তবে তুই পালিয়েই যা।
লাল সূর্য হলুদ সূ্র্য-
বাচিয়ে রাখিস আম-আমাদের সূর্য।

মেনে নিবো-
সাময়িক প্রস্থান পরাজয় নয়।
সান্তনায় ভাববো-
মধ্য বিরতি সমাপ্তি নয়।

কষ্টে থেকে হারিয়ে গেছে আইজুদ্দিন।
অপেক্ষার প্রহরে মিলিয়েছে নাজির।

সংকীর্ণতা, সাম্প্রদায়িকতা,
লোভ, লালসা আর হিংসা।
ধর্মান্ধতা, স্বেচ্ছাচারিতা,
জিঘাংসা, অহমিকা আর দৌরাত্ম্য।
বিশৃঙ্খলতায় কোণঠাসা সুবোধ।
পূর্ণতাতে পুরন কর, অপূর্ণতাকে হরন কর।
সমতার সন্ধি ভেঙে আপন পাল্লা ভরে চল।
চলছে সার্কাস, সত্যিই সেলুকাস।

তবুও বলতে আশা,
'সুবোধ তুই ঘুরে দাড়া।'
কিন্তু না।
’সুবোধ তুই পালিয়ে যা, এখন সময় পক্ষে না।’
শোন-
‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, মানুষ ভালোবাসতে ভুলে গেছে।’
সত্যি বলছি-
‘সুবোধ তুই পালিয়ে যা, তোর ভাগ্যে কিছু নেই।’
’সুবোধ তুই পালিয়ে যা, বড় নষ্টদের এই শহরটা।’
তবে কি-
‘সুবোধ এখন জেলে, পাপবোধ নিশ্চিন্তে বাস করছে মানুষের মনে’
'তবুও সুবোধ রাখিস সূর্য ধরে।'

অন্ধকার থেকে আলোর পথে,
আলোর সন্ধানে-
এখানে জারুল ফুলের দিনে, কেউ তোর হাত ছুঁয়ে হাঁটবে না।

হবে কি.?
হয়ত এখন সময় না সুবোধ।
কোন এক দিন-
এখন তো পালিয়ে যা।
লাল সূর্য হলুদ সূ্র্য-
বাচিয়ে রাখিস আম-আমাদের সূর্য।

তোর পালিয়ে যাবার যে ছায়া দেয়ালে,
সেই দেয়াল ভেঙ্গে পালিয়ে যা।
স্রষ্টা আর সংঘ আলম্ব উর্দ্ধ তুই।
তাইতো তোর উলঙ্গ বুকে এতো তাপ-
সেই তাপে দেয়ালের ওপারেই হোক এক নতুন পৃথীবি।
'সুবোধ- তুই পালিয়ে যা, ভুলেও ফিরে আসিস না।'



★ জুলাই, ২০২০
★ বিঃ দ্রঃ- সংগৃহীত দেয়াল চিত্র "সুবোধ"-এর পংক্তিগুলো ব্যবহার করে কবিতাটি লেখার চেষ্টা হয়েছে।