আমার চোখের জল পরিত্যাজ্য হোক।
মারো, আমাকে আরো জোড়ে মারো
চুষে নেও আমার শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত।
আমার ধর থেকে মাথা ছিন্ন করে দাও।
আমার রমনীর সম্ভ্রম লান্চিত করো।
আমার হাতে তুলে দাও সন্তানের বিচ্ছিন্ন লাশ।
পুড়িয়ে দেওয়া ঘড়ে আমাকে নিক্ষেপ করো।
আমার সার্বিক নির্যাতন তোমার অধিকার।
আমি এক সংখ্যা লঘু বলছি।

ভাবনা বিসাশ্ব আথবা জীবন বিধান,
সংখ্যা গরিস্টের ভিন্ন মত বা পথ আমার পাপ।
শক্তি আর ক্ষমতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি অস্তিত্তের মহাশ্মাশান।
আমি তোমাদের বাতির নিচের ছায়া।
সেই ছায়া মিটাতে নিভিয়ে দাও সকল আলো।

ঘর,
ঘর থেকে সমাজ
সমাজ থেকে সংঘ
সংঘ থেকে রাস্ট্র
রাস্ট্র থেকে জাত
আজব এক জাতীয়তাবাদ

ধর্ম আমার ভাবনা তোমার,
বিশ্বাস আমার ভয় তোমার,
অভিজিৎ হোক কিংবা খাগোজি,
রামু হোক কিংবা ফিলিস্তিনি,
সোমালিয়া বোসনিয়া
রাখাইন রাজ্য থেকে সিরিয়া।
নাসির নগর কিংবা অযোদধ্যা।

কোরান, তাওরাৎ, বেদ, বাইবেল কিংবা ত্রিপিটক।
কে বলেছে হত্যাকারীর সমর্থক।
অহিংসার বানি লুন্ঠন আর হত্যার জয় গানে।
মিনারের মাইকে মৃত্য পরোয়ানা টানে।
গরুর কঙ্কালের গল্প গুরুদের করে তোলে আগ্নিমুর্তি।
প্রতিহিংসার আগ্নেয়গিরিতে ক্ষিপ্র লেলিহান শিখা এিমূর্তি।
মৌসুমি দালালদের জন্ম জন্মান্তরের ভীত সজ্জিত।
মগজে যে নিষ্ঠুরতা চাষ।
দাসত্বের বীর্যে সভ্যতার সর্বনাশ।

বর্নিল শক্তি একচেটিয়া দাপুটে নিশ্বাস।
রক্তপিপাসুর লুন্ঠনে লঘুর বিশ্বাস।
লঘু আরো লঘুতর বিলুপ্তির মানচিত্রে।
ভয়ংকর ব্যাঙ্গ আর বিদ্রপ কামুকের গাএে।

মানুষ হবে তো মননশীল।
সেটা ভাববে আজ কোন চিন্তাশীল।
প্রার্থনার দাবিদার যে প্রভু
সেও শুনতে না পাওয়া গল্পে হাতগুটিয়ে।
মানব বন্দন প্রতিবাদের বিজ্ঞাপনে।