আজ বড় উদাসীন,
মনে থাকছে না কোন কিছুই কোনভাবে।
বিকেল রোদের মিষ্টি আলো-
আমার জানালা গড়িয়ে আলোড়নহীন।
মন্দ কি.! যদি একদিন সঙ্গবিন.!
মনের চিঠি মনকে জানানো যত।
পৃথীবি তুমি দেখছো কি বেদনা শত.?
লাশের মিছিলে তোমার সন্তান ভাসে।
তোমায় কি তাই ভাবায় এমন ত্রাসে.?
তোমার দেহে বৃক্ষ, মানব, পাখি
জলে জন্ম জলজ আদিম সাথী।
তর্পণ কর্মে তর্পিত মানব জাতী।
কোন সে ভুলে বেভুল সকল রতি।
কাগুজ নৌকোয় ভেসে বেড়ানো মন।
মনের সান্তনা মনকে বোঝানো ক্ষন।
কতদিন ধরে দেখা হয় না তোমায়।
টানটা তবুও সেজে আপন জানায়।
চার দেয়ালে আটকে যখন নৃ।
বাজে কি সানাই কোন সে সরণি.?
তোমার আকাশ নীল কি আজও একই.?
তোমার বাতাস ছুটছে কতটা শতই.?
সমুদ্রে কি টেউয়ের দোলা চলে.?
চাঁদের আলোয় জোছনা কতটা জ্বলে.?
পাখি কি আজ গাইছে আপন গান.?
নদীর জল বাধছে কতটা তান.?
হাঁসের দল ছুটছে কি মাছের পিছে।.?
ফুল পাতা কুল হাসছে কতটা মিছে।.?
আমার তো এখন দেখা হয় না তোমায়।
তোমার কি আর পরছে মনে আমায়.?
জান কি তুমি.? কতটা জানা তোমার.?
মায়ের কোলে শিশু যেন অচেনার।
প্রেমের ছোয়ায় রমন-রমনী দুরে।
ভালবাসা নতুন কোন আতুর ঘরে।
শিশু ছোটে না বাবার কাধের দিকে।
প্রেমের চুম্বন আজ যেন শুধু ফিকে।
হাত দুটি মোর আপন শত্রু যখন।
আমি কি আর আমার থাকি তখন.!
এমনটি করে দেখতে হলো তোমায়.!
তেমনটি কি মানায় কখনও আমায়.?
টোমাহক, ক্লাস্টার অসীম সামর্থ্য যত।
সুসময় চোখ অসময়ে কাটছে তত।
মানুষ মানুষের ভুলে গিয়েছিল যারা।
দূরত্ব মেনেও মানবতা খুজছে তারা।
ঈশ্বর নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল যাদের।
এক ছায়াতলে ছুটতে হচ্ছে তাদের।
পৃথীবি তোমার অদম্য করোনা কুরুনায়।
মানব তোমার আদ্যন্ত ক্লান্ত বেদনায়।
রূঢ় করে মানায় কিভাবে তোমায়?
বসুন্ধরা কি ফিরিয়ে দেবে না আমায়।
অভিমান ঘুচুক ভবিষ্যৎ শতাব্দীর সম্মুখে।
যাতনা কাটুক পৃথীবি তোমার অনপেক্ষে।
★এন এস এম মঈনুল হাসান সজল
★এপ্রিল, ২০২০