স্ববিরোধীতা হাতরীয়ে আশরাফুল মাখলুকাত।
তোমার কর্ম তাই মানবতার আঘাত।
সভ্যতার এগিয়ে যাওয়া যাদের দুশ্চিন্তার কারন।
তাদের পৈশাচিকতার সালামে শোভায়িত তোরন।
অনেকটা পথ পেরিয়েও ভয়ংকর দিন রাত্রি।
নিশ্চিত নাগরিক আজ অনিশ্চিত অভিযাত্রি।

কথার সাথে বিশ্বাস
ভাবনার সাথে কলম
অর্থের সাথে সফলতা
ধর্মের সাথে স্বাধীনতা

আদর্শের কাছে প্রয়োজনের জিতে যাওয়া প্রতাপ।
পেষন যন্ত্রগুলোর সংঘবদ্ধ হয়ে ওঠার সন্তাপ।
বৈপরীত শক্তির হুংকার যখন স্পস্ট।
বিপন্ন মানবতা তখন যাতাকলে সর্বশান্ত।

নিস্প্রান বকের পাগুলোও রক্ষা পায় না।
জাহানারা ইমামদের ত্যাগ পরিত্যাজ্য হয়।
ভেঙ্গে পরে লালনের ভাস্কর্য,
তুলে নিতে হয় হাইকোর্টের লেডি জাস্টিস,
নির্যাতনেও নিরব নাসিরননগর।
লালনের আখড়া আবারও অরক্ষিত।
মাহফিলে উন্মত্ত আহ্বান ভিন্ন মতাদর্শিদের ঝেড়ে ফেলার।
মত ভিন্নতায় জীবনের ইতি টানে-
রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায় আর অনন্ত বিজয় দাস।
হুমায়ুন আজাদ আর জাফর ইকবালদের রক্তে লজ্জিত বাংলা।
হিন্দুয়ানি মুসোলমানি খোজা কৃস্টির দেহে।

সুলতানা কামালের শাড়ি, প্রিয়ভাষিণীর টিপ
ধর্ম ব্যপারীদের কলফ্ নষ্ট করে দেয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবীরা হয়ে যায় দালাল।
হত্যার বিরোধিতার অপরাধে শোলাকিয়ার ইমাম হয় বয়কট।
ঢাকের তাল, গুঁড়ের গন্ধ এখন পূজার জানান দেয় না।
ভাঙা প্রতিমা যতটা।

প্রগতী উৎপাটনে প্রতিটি ধাপে সরব সংঘবদ্ধ গোস্টি।
যোদ্ধা আর যুদ্ধাপরাধীর সন্ধির ভীতি।
টুপি পড়ে ব্রাম্মন আর পৈতা কাধে ইমাম সুশীল সাজে।
আমরা সভ্যতার পতাকা তুলে নিশচুপ।
কাদেরদের সমূলে উৎপাটন অনেক পথ বাকি।
রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবাহিত উগ্রতা খনিকের জমে থাকা মাত্র।
সংকোচে নিঃসংকোচে মানবতার আগুনে ঘি ডালা কারিঘর নিঃসংশয়ে।
মানবিকতা ধর্মের কারাগারে।



## ফেব্রুয়ারী, ২০১৮