নিজের গভীরে পরে থাকে পচনহীন মৃত মানুষটি।
দৃশ্যমান দেহ কুঁকড়ে অদৃশ্য হিংস্র থাবায়।
শোনা যায়
ক্ষুদ্র ক্রমশ ক্ষুদ্র হয়ে মিলিয়ে যাওয়া তোমার রায়,
উৎপাটন হবে ইতিহাস থেকে মন থাকার অপরাধে।
জানা আছে তোমাদের
মন আছে যার মুক্ত ভাবনা তীব্র অঙ্গীকার।
রাহুগ্রস্থ সভ্যতা রাঘব-বোয়ালদের ক্ষুধার্ত কাড়াকাড়ি,
দূষিত বিশ্বাসে লালসার লালা জড়িয়ে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়।
হৃদপিন্ড বিবর্তিত হয়ে একুশটি নখ ধার আঙ্গুল।
মস্তিষ্ক দামী তাদের যারা ছিল জিলাপির কারিগর।
"ওহ" "আহ" "ইস" হাহাকার সুখ আর অনুপ্রেরনার জাতীয় সংগীত।
মন ছিল যাদের অমানবিক নির্বাসন নির্ধারিত তাদের।
নিজের সত্ত্বা হারিয়ে যন্ত্রাংশে পরিণতি তোমার বিধান।
যন্ত্র চরিত্র অনুকরণে সফলতা তোমার প্রাপ্তির সম্মান।
ব্যক্তি-স্বাধীনতা, বাক-স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা কোন এক অস্পৃশ্য অধ্যায়।
অন্যের ভাবনা-বিশ্বাসের জীবন বিধান বিস্তারমান সামাজিকতায়।
হাঁটতে হবে তোমার পদ চিহ্ন ধরে,
ভাবতে হবে তোমার মত করে,
পোশাকে হবে শালীনতা নির্ধারণ,
চুলের ভাজে খুঁজচ্ছো কারণ অকারণ।
ভাষায় আমার তোমার শব্দ সাজবে,
আমার সুরে তোমার বেহালা বাজবে।
নারী-পুরুষ ভিন্ন অবয়বের জীব বিশ্বাস।
নব জন্ম তবে তো সংকর আগমনের দীর্ঘশ্বাস।
ধর্ম আমার জন্ম করছে নির্বাচন।
মানুষ আমি
কোথায় আমার মনুষ্যত্বের জাগরণ.?
বেঁচে থাকা তোমার মত করে।
মন থাকবে কোন এক শবাগারে।
অদৃশ্য শেকল কাঁধের ওপাশ হয়ে এপাশে সংযুক্ত।
বলা যাবে না আমার কথা আমার মত করে।
গাইতে মানা আপন সুর তুলে।
ভাবাতে পাপী ভালোলাগার পুথি বুনে।
সংস্কৃতি, সংগঠন, মূল্যবোধে ঘুণপোকার স্বাধীনতা,
বাস্তুসংস্থান সমাজ ব্যবস্থার নিঃসংশয় বিয়োজকিতা।
সামাজ যে ধারণা মাত্র
সেই মঞ্চে ব্যক্তি চিন্তা ব্যর্থতার পাত্র।
অস্তিত্ব, জ্ঞান, মূল্যবোধ কিংবা কারণ
প্রকৃতি, পদার্থ, চেতনা কিংবা জগৎ জীবন
সবটাই সামাজিক নির্ধারন।
সকল নির্ধারণ নিরবে নিভৃতে অভ্যস্ততায় আলিঙ্গন।
অতঃপর
উপভোগে ব্যস্ত ধর্ষণের সুখ,পরিণয়ে রক্তক্ষরণ।
★ জুন, ২০২০