আর কখনো চাইনি শহরটা ভিজুক সেই বর্ষার মতো
ইউনিভার্সিটির শেষ দিন...
জিনিসপত্র গুটিয়ে হস্টেল ছেড়ে চিরতরে বাড়ি ফেরার পালা
আবার চলতে হবে অচেনা এক পথ চিরহরিৎ বনরাজির সন্ধানে
এক অলিখিত উপন্যাসের কাহিনীর খোঁজে।

এক বুক কান্না নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রিয় কৃষ্ণচূড়া গাছটার নীচে প্রায় এক ঘন্টা...
পরস্পরকে শেষবার দেখেছিলাম অপলক।
পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছিল যারা
কেউ বোঝেনি...আমি কাঁদছি খুব কাঁদছি
সারা জীবনের কান্না যেন বাকি এক ঘন্টায় কাঁদছি
কারণ বর্ষার শহর ভিজছিল  প্রাণপন
আমিও চাইছিলাম এভাবেই ভিজি আমরণ।


আলাদা হয়ে গেল দুটো পথ....যদিও এক হাঁটু জলে পথ মিলেমিশে একাকার,
তুমি তোমার গন্তব্যে আমি আমার
কারণটা উহ্যই ছিল আমার উপন্যাসের পাতায়।

এগিয়ে এসেছি কয়েক হাজার মাইল
চলছে অক্লান্ত জীবন
তুমিও বোধহয় তোমার প্রিয় গোলাপে সাজাও সুখী গৃহকোণ।

অসহ্য লাগে ধূসর আকাশে কালো মেঘের বহর
খিল দিয়ে থাকি দরজায় যখন প্রাণপন ভেজে শহর।
এক হাঁটু জল রাস্তায় আর নামিনি আমি কখনো
ভেজা কৃষ্ণচূড়ার নীচে আর দাঁড়াইনা এখনও।

আমি না চাইলেও প্রতি বর্ষায় শহর তো ঠিক ভেজে
বেহায়া স্মৃতি জোর করে খোলে মনের দরজা সেই আমিটার খোঁজে!