হে মহাময় অতিত
অকুতোভয় বীরের মত নিজেকে আর গর্বিত করনা
নিঃস্ব হও। রিক্ত হও।
আমি পদদলিত করি তোমার তান্ডবলীলা
আমি জানি জোর করে তোমায় থামানো যাবেনা। মিনতি করি,
মুক্তি দাও তোমার ঐ শৃঙ্খলাবদ্ধ থেকে।
ইতিহাস তুমি মারজিত হও তোমার ভেঙে যাওয়া প্রাসাদচূর্ণ দিয়ে আমার বর্তমানের ভিত সুদৃঢ় কর
তোমার ঐ রথের চাকা বারবার ঘুরিওনা ।
যে চিত্তরসের ছোঁয়া হ্নদয়কে শোভাসিত করেনি আজকে যখন তাদের স্মৃতি অসম্মানের বিষে তিক্ত প্রানে শুধু স্বাপদ নখের জ্বালা।
আমার বর্তমানের একাগ্রতায় স্বপ্নবিনিময়ের মেঘ যখন চাইছে আমাকে ভিজিয়ে দিতে তখন তোমার ঐ জরাজীর্ণ চাকার ধুলো আর আমার গায়ে উড়িওনা।
এতদিনের পোড়ামাটি ক্ষরার তাপে যোগ -বিয়োগের জটিল বিষন্নতায় যখন অগ্নিগিরি রুপ ধারন করত তখন ঘৃনার সামিয়ানা ভিজে চপচপে হয়ে যেত।
নিয়তির দানব থাবা থেকে আমার অক্ষম আক্রোসেরা শত গর্জন করেও দুর্বোধ্য জল ছুঁতে পারেনি ।
আমার বর্তমান আজ গর্জে উঠেছে
ভিজে মাটি হবে। সামনে থাকনা যতই পাহাড় । থাকনা মৃত্যদ্বার।
ব্যর্থ নোঙর আজ নদী হবে পার।