আমার মায়ের বেশ কিছু নকশিকাঁথা ছিল
বেশিরভাগেরই জমিনটা সাদা হলেও
গায়ে রঙবাহারি সুতোর মিহিকাজ ।
পুরনো শাড়ি - যেগুলোর মায়া পুরোটা
কাটিয়ে উঠতে পারেনি, সেগুলোর পাড় থেকে
শক্তপোক্ত রঙবেরঙের সুতোগুলোকে
হাতের আঙুল ও পায়ের আঙুলের
ম্যাজিকে অনায়াসে তুলে এনে
তাদের সাহায্যে মা, সাদা কাঁথার উপর
বুনে দিত রঙবাহারি মিহিকাজ।
সে কাজের মধ্যে মায়ের কত কত সময় যে গাঁথা আছে
আছে মায়ের আঙুলের কত কত গান
সেসব মুহূর্তের কত সুখদুঃখের অনুভব।
কত কত ভাবনা, গল্পগাছার বুনন
এতকিছুর মিশেলে মায়ের গন্ধ
আরও ছড়িয়ে ছিল সে কাঁথায় ।
প্রিয় সে নকশিকাঁথা স্মৃতিঘরে
আজও এতদূরে মায়ের সুবাস নিয়ে আসে।