স্বপ্নগুলো মাঝে মাঝে খুব মধুর লাগে
যখন ফিরে যাই সেই ছোট্ট বেলার স্মৃতিতে,
মেঠো পথের দু'ধারে কেবল হলুদের কার্পেট
খেঁজুর গাছের ফোঁকরে লুকোচুরি খেলা
বট গাছে বসে আচার চুরি করে খাওয়া
আর দাঁত কেলিয়ে সব বন্ধুদের কাঁচকলা দেখানো।
উফ! স্মৃতি হাতড়ে কতকিছু আজ মনে পড়ছে।
সেই যে, নৌকায় বসে সকাল- বিকেল
রুপোলী পানিতে পা ভেজানো
আর পরি মাঝির মুখে পানির তলার
ডাইনীর রাজপ্রাসাদের গল্প!
সকালের আকাশ আর বিকেলের আকাশের ভিন্ন রঙ।
বাগানের ফাঁকে জোছনা রাতের আলো
ঘোর অমাবস্যায় জোনাকির আলো
আর ঐ যে বড় জঙ্গলের মাঝখানে
শেয়ালের পালের হুক্কা হুয়া ডাক!
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে নদীর পাড়ে সবাই মিলে
খেঁজুর গাছের রস চুরি...
সব কেন আজ স্বপ্নে শুধু স্মৃতি হয়ে ধরা দিচ্ছে?
ওহো, বলিনি বুঝি। আমি আবার টক খাই না-
তাতে কি- "বরই" আর "বাতাবী লেবু"
চুরি করতে তো কেউ বারণ করেনি।
তাই সেদিন আমিও ওদের সাথে চৌর্যবৃত্তির মনোবাসনা পূর্ণ করেছিলাম।
জানো, আজ ওখানে দাদির কবর,পাশে বাবা।
প্রতিটা পা ফেলতে মনে হয় সেই ভয়াল দুঃস্বপ্নের কথা।
অথচ এক সময় ওখান দিয়ে ফেরার সময়
ফ্রক ভরতি করে শিউলি ফুল নিয়ে আসতাম।
ঘাস ফুলের ডাল দিয়ে মালা বানাতাম।
হয়তো এখনো সেই শিউলি ফুল পাওয়া যাবে সেখানে,
তবুও কিসের যেন শুন্যতা।
আমি বুঝি বড় হয়ে গেছি...
উঁহু; মনে হয় বুড়িই হয়ে গেছি।
নয়তো এক টাকার সেই কুলফি আর
টাকায় চারটা চকলেট কিনে খাইনা কেন এখনো!
ও গুলোতো এখনো আছে। সেই বাওর, পরি মাঝি, জোছনা রাত, জঙ্গল...।
তবে কি আমিই বদলে গেছি!
নয়তো স্বপ্নরা কেন শুধুই আজ আমার স্মৃতিতে বর্তমান...?