নকশিকাঁথার মাঠ পেরিয়ে অনেক দূরের গ্রামে,
নীল আকাশের সাদাখামে, মেঘের চিঠি নামে।
নূপুর পায়ে বৃষ্টি মেখে, হলদে বসন উড়িয়ে দিয়ে,
আকাশবুকে রং ছড়িয়ে হাজার খানেক গান বাঁধে।
এমনি এক মেঘলা দিনে, বাহিরপানে হাত বাড়িয়ে
উদাস হয়ে হাওয়ার সাথে, কেমন করে যায় হারিয়ে।
মুহূর্তেকে অঙ্গ বেয়ে স্নিগ্ধ এক স্পর্শ ঘিরে
শিহরণের সূক্ষ ছোঁয়ায়, স্বপ্ন গুলো আসে ফিরে।
হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন ছন্দে
জীবনতরী এগিয়ে চলে হাজার ভালো মন্দে।
সন্ধ্যেবেলায় অস্তাচলে, নগ্ন পায়ে, ক্লান্ত দেহে
এগিয়ে চলে পথিক জীবন, যুগান্তরের ডিঙ্গা বেয়ে।
বেলাশেষে হাজার কথন, বলতে গিয়েও বারণ যখন
মনের মাঝে ইচ্ছাগুলো, মারণ রোগে ভুগছে তখন।
বিস্ফোরণের বিষের জ্বালায় নতুন করে ওঠা-পড়া
স্বপ্নগুলোর ফিরতি পথে অসংকোচের পর্দা ঘেরা।
নিজের সাথেই দ্বন্দ্ব যখন, বুকের উপর পাথর চাপা
আঘাত হানে কাছের মানুষ, ব্যঙ্গ করে স্বয়ং ক্ষ্যাপা।
মনের কথা বললে পরে, হাসির খোরাক বানিয়ে দাও,
মানুষ হয়েও এমন ধরণ, কাজের মাঝে কি বা পাও?
সকাল থেকে সাঁঝের বেলায়, অসম্ভবের অসঙ্গতে
বুকে অনেক স্বপ্ন নিয়েও, যায়না বলা কোনোমতে।
দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে থেকে, জলের মাঝে শব্দ শুনে
অখ্যাত এক গ্রামের মেয়ে আজও মনে স্বপ্ন বুনে।
কলমে~ মৌপিয়া জানা