রংবেরঙের হই আমি যে ,রসে ভরা থাকি ।
সাজিয়ে কাচের ভেতরে আমি নিজেকে গুছিয়ে রাখি ।
কত রকম বাহার আমার সঙ্গে কাজু দিয়ে।
নিজেকে গুছিয়ে তৈরি করে ,সবারে সাদে মন ভরি টগবগিয়ে রস ভ ভড়া নাম নিই রসগোল্লা ,
কখনো আবার লাল রং মেখে হই চমচম ,
প্যাচে ঘুরে রসে জিলিপি নামেতে ,
চলি মন্দিরে মন্দিরে সাদা মেঠো হয়ে নাম নিয়ে সন্দেশ। আমার গর্ব আমার রসের ঠোঁটে মুখে ভিজে থাকি ।
আনন্দ উৎসবে আমি সবারে খুশিতে রাখি ,
সুসংবাদ সানন্দে আমার আহান চলে,
যখন তখন ঘুরতে গেল আত্মীয় বাড়িতে,
আমি বয়ে আনি, অনেক খুশি ,আনন্দের সাথে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবারমান,
আমার এই রসদিয়ে ধরে রাখে ।
ভাইরাসের কবলে তে হয়েছি যে আজ ম্লান ।
আমায় দূর থেকে দেখে চলে যায় ,
কেউ তো আর কাছে আসে না ,
আমায় নিয়ে কচিকাঁচারা কেউ বায়না ধরে না ,
আমার রূপের বাহার সেজেও,
লাগছেনা তো আজকে ভালো,
কেউ তো আমায় হাতে নিয়ে আদর করে না,
মুখের মধ্যে ধরে ফেলে ,
আগে কত প্রতিযোগিতা চলতে থাকত ।
এখন আর কেউ আমায় নিয়ে খেলা করে না ।
অন্য জায়গায় তৈরি বলে ,
আমাকে কেউ লক্ষ্য দেয় না,ওরে,
কেউ বা ভাবে হয়ত আমার ভেতর ,
প্রবেশ করেছে ওই খারাপ ভাইরাস যে ।
অনেক ভাবে সাজিয়ে আমি,
সবার কাছে পরিচয় হই মিষ্টি নামেতে ।
,আমার অহংকার তোমরা আমায়,
আবার নিয়ে যাওনা ,
সাথে করে এদিক ওদিকে ,
ভারের ভেতর করে ,কিংবা কাগজের ঠোঙ্গা তে ,
মনের খুশিতে যেতাম আমি তোমাদের সাথেতে।
বলছি আমি শোনো তোমরা,
আমার কাছে এসে দেখো,
আমায় একটিবার চেখে ,
তবেই আমি খুশি হয়ে থাকবো,
আমার এই সাজের বাহার এর আনন্দেতে।