ফোকলা দাঁতে মিষ্টি হেসে খোকন সোনা হাসে,
তাই দেখে না বুড়ি দিদা মুখ লুকিয়ে থাকে।
6 বছরের শিশু হতে দাঁতটি গেছে পড়ে,
তাইতো খোকন রাগ করেছে ভাত খায়নি কাল থেকে।
দাঁত গেছে যে কোথায় চলে খোঁজাখুঁজি করে,
ফোকলা দাঁতে খাবার সব গলে যায় যে।
খোকন সোনা দাঁত ফোকলা বাইরে বেরোই না,
লুকিয়ে মুখ দেখতে থাকে বারবার আয়নায়।
কখন যে ওই ফোকলা স্থানে দাঁত বেরোবে তার,
লুকিয়ে চুপি চুপি বলে মাকে গোপন কথা তার।
বাড়িতে কেউ এলে পরে খোকন সোনা চুপটি থাকে,
কয়না কথা একটুও যে মুখ বন্ধ করে রাখে।
পাশের বাড়ির কেউ কিছু বললে চুপটি করে বাড়ি আসে,
এখন আর গড়গড়িয়ে আধো আধো কথা বলে না সে।
পাড়ার ছোটদের সঙ্গে খেলতে যায় না,
খোকন সোনার মনে ভারি দুঃখ হয়েছে ।
ফোকলা দাঁতে বাইরে বেরোতে চায় না যে,
দাদু যখন বাজার থেকে এসে ডাকে খোকন সোনা বলে।
দেয়না সারা চুপটি করে লুকিয়ে থাকে ঘরের কোণে,
দাদুর আনা ফলগুলো যে পারবেনা কাটতে দাতে।
তাইতো সে বেরোয় নাকো ঘরের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, ডাকলে পরে দেয় না সারা চুপটি মেরে শুধুই থাকে।
হঠাৎ করে বন্ধু এলে খোকন বলে ডাকলে পরে,
এক ছুটে সে বেরিয়ে এসে।
বন্ধুর সাথে লাফাতে থাকে,
সে বলে আমরা এক ,দুজনের নেইকো দাঁত।
চল আমরা বেড়াতে যাব একসাথে দুজনে খেলব।
যা খাবো দুজনে মিলে ভাগ করে নেব ওরে।
চুপি চুপি থাকব মোরা বড়দের কাছে যাব না ওরে।
ওরা বড় নিন্দা করে দাঁত নেই কো বলে মোদের।
কেউ বলে দাঁত ফোকলা কেউ আবার দেখে হাঁসে,
ওদের থেকে থাকবো দূরে ওরা বড় দুষ্টু পাজি ওরে ।
এমন সময় দিদা এসে তাদের ডেকে বলে ,
আমারও তো দাঁত নেই রে ,
তাই বলে কি আমি তোদের মত মুখ লুকিয়ে থাকি ওরে।
দাঁত নেইতো তাতে কিরে।
সবার দাঁত একদিন ফোকলা হবে।
তাই বলে কি লুকিয়ে রবে,
দাঁতের সময় হলে আবার নতুন করে জন্মে যাবে।
মুখ লুকিয়ে থাকিস না কো, চল রে তোরা আমার সাথে।
কে কি বলে দেখব ওরে ,ফোকলা দাঁত তো হয়েছে কিরে?