প্রসন্ন তুমি এসেছিলে ,দুপুরে ছায়াতে,
যখন চলছিল চারিদিকে বাতাসের এলোমেলো ,
নিস্তব্ধ নিরাকার হয়ে ,।থামিয়ে দিলে ব্যস্ততা,
অবসন্ন ক্লান্ততাই নেমে এলো চারিদিকে স্তব্ধতা, একাকার হয়ে প্রকৃতির জয় চলছিল তখন ,
ছায়াদানের বারবার প্রশংসা চলছিল যখন ।
নদীর পাড়ে বসে থাকা মাঝি মোল্লার দল ,
ক্লান্তির ঘুম দিচ্ছিল যখন পরল ছায়ার বল।
তুমি এমন মেজাজে রাঙিয়ে দিয়ে এসেছিলে,
সবাই তোমারে সানন্দে দোর খুলে দিয়েছিল।
তুমি উন্মুখ, তুমি প্রসন্ন, তুমি রোদ্রে তপ্ত ,
গৃহবধূর মত তুমি দুপুরে হও ঘোমটা মুখে স্তব্ধ ।
তোমার রাঙানো তপ্ত হাওয়ায় আলোকের ছায়াগুলি ,এদিক-ওদিক শীতল করে সবাইকে প্রসন্ন করে তুলি ।রাখালের ওই গরুর পাল ও,
তোমায় দেখে পৌঁছে যায় গো,
আশ্রয়হীন করো না কাউকে,
তুমি হও যে সদানন্দময়ী।
যেমন করে সন্তানকে মা আচল আড়াল করে,
সকল বিপদ দূরে রেখে পথ চলতে শেখায় তোরে ।
তুমিও তো তোমার ছায়ার রাশি ,
ধরণীর বুকে ফেলে সারি সারি ,
সবার মা হয়েও রাখ আচল ঢাকি ,
নতুন পথিক এলে পরে,
তারেও তুমি ব্যর্থ নাহি করে।
নিজের ছায়ার তলে, রেখে শান্ত করো ,
সকল দিনের দাও ক্লান্ত দূর করে।
পথের মাঝে পড়ে থাকা অবলা প্রাণীদের ,
রৌদ্রের কষ্ট থেকে বাঁচিয়ে তাদের ছায়া দাও যে ।
নিজেরে রোদ্রে পুড়িয়ে তুমি, তপ্ত রেখে দাও,
দুপুরের ছায়া তুমি বাইরে শুধুই কঠিন,
মনের ভেতর পড়ে আছে দুর্বলতার মলিন।
তাইতো তুমি কখনো ,তোমার থেকে বঞ্চিত করো নাকো ,নিজের সব কষ্ট আড়াল করে ,
সবাইকে রেখে চলাই ভালো।
তুমি অনেক করুন, মধুর, তুমি তৃপ্তিময়,
তুমি জগৎজোড় আনন্দ, তুমি দারুন ছল ।
অজানাকে জানিয়ে তুমি নিত্য সংগী হয়ে,
সবাইকে দুপুরের রোদ্র থেকে শান্ত রাখে যে।