দেখো কত আনন্দ চারদিকে
কেন জানো?
ওই মা দূগ্গা আসছে।
সবাই নুতন জামা কাপড় কিনছে।
মোটা টাকার প্যান্ডেল তৈরী হচ্ছে।
বছর ঘুরে আবার মা আসছে
মা দূগ্গা দূগ্গতিনাশিনী
না, আমার আনন্দ নয়,
আমার ভয় হচ্ছে
লোক দেখানো পূজোর ভয়
বিশিল অংকের চাঁদার ভয়
চার হাজার টাকার রসিদ এসেছে
সারা মাস যুদ্ধ করে রোজগার করি
ভাবছি কি করে দেব?
মা দূগ্গা কি চায়?
কিছু বুঝতে পারি না।
মার আরাধনায় এত টাকা?
আমার মত সাধারন মহিলার
এত মানসিক চাপ?
সব আছে, হাসি, আনন্দ, বাজনা, চাকচিক্য,
কিন্তু ভক্তি কোথায়?
দূগ্গাপূজার মানে কি?
আরো কত নাটক তো বাকি।
প্যান্ডেলে কত ভন্ড ভদ্রলোক,
মার পায়ছ সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করবে,
অথচ তারই নিকটে থাকা
তার অর্ধাঙ্গিনিকে মানসিক
অত্যাচার করবে।
না, আমি ভাবছি।
মার পূজো আমিও দেখব।
মাকে প্রশ্ন করব।
মা, তোমার ঐ ত্রিশূলটি দেবে?
আমায় একদিনের দূগ্গা করবে?
তুমি যা পার না,
আমি করব।
অনেক কাজ বাকি মা,
অনেক কাজ বাকি।