প্রিয়, তোর চোখের কালিমায়
নিস্পৃহ কিছু ভালোলাগা দেখে এগিয়েছিলাম
অতঃপর কতবার যে ভেসেছি,
তোর ভালোবাসার মায়াবী মোহনায় ।
হাত বাড়িয়েছিলাম সোনালী ভোরের আশায়
অতঃপর হাজারো জোনাকীর আলোয়
পথ খুজেছি বহুবার ।
ভোরের অপেক্ষায় ছিলাম সারারাত
জেগে উঠে ঠিকই হারাবো আবার
তোর দৃষ্টি থেকে করে সৃষ্টি
তোর চোখেই যেখানে আজ, বিষন্ন জোনাকীরা স্থির ।
আমি জানি, আমি আজ তোর কাছে
কোন এক পরিত্যক্ত চাদর
তবুও আগের মতোই আমি খুঁজি
তোর সেই মায়াবী ভালোলাগাগুলি
সমবেত জলরাশির মাঝ থেকে,
আমি আজও খুঁজে বেড়াই তোর হাতছানি ।
আবার যদি শিশু হতাম-
জলসন্ধ্যায় ভাসতাম একাকী সন্তরনে
ঘুমজলে, দীপান্তরে
ঠিক যেন নিরুদ্দেশের বিকট বজ্রপাত ।
প্রত্নরত্ন চাঁদের আলো চাইনিতো,
না কিছু সুনিবিড় সংলাপ
তোর মায়াবী দৃষ্টিতে সিক্ত করতাম
আমার রুক্ষ আপাদমস্তক
কারন, ঢেউ ভাঙ্গা উজানের জল আমি কৃতজ্ঞ চাতক ।