উৎসর্গঃ এই মৃত্যুপুরীতে অপমৃত্যুর মিছিলে নাম লেখানো আরো একটি নাম নুসরাত জাহান রাফি
কৃষ্ণ গহ্বর আবিষ্কারের উম্মাদনায় মত্ত জনপদে
রক্তের নেশায় মাতাল পিশাচদের বিচরণ রক্তের খোঁজে,
এই কোলাহলের বাতাস ভরে উঠে দূষিত নিঃশ্বাসে
জীবনের গ্লানি অমূলক আকস্মিক মৌনতার হাতছানিতে।
অন্তর্জালের অনন্ত অন্বেষণে সত্যের নগ্নতা বিবেকের দীর্ঘশ্বাসে
শরীরের দগ্ধতা ভূলে গিয়ে, দ্রোহের দৃষ্টি তার চোখে-মুখে
অক্ষম সময়ে বেঁচে থাকা অজস্র কঙ্কালের পায়চারীতে
উপহাস আর চাপা কান্নায় ন্যায়ের ছবি স্বপ্নের ক্যানভাসে।
অতল অন্ধকারে তার প্রতিবাদ যেন এক মাধুর্যের রূপ
আবছা অনুনয়ে বিচূর্ণ আত্নার প্রস্থান মৃত্যুহীন ফাঁদ,
অলক্ষ্যের অগোচরে জীবনটা আজ অনিশ্চিত স্মৃতিচিহ্ন
তাই বারবার পুনর্বার তোমার অনুভব অন্য এক অবিনশ্বর।
ভেঙ্গে পড়া বিশ্বাসে তোমার প্রতিচ্ছবিতে হিল্লোলিত আলোর বিচ্ছুরণ
ক্রন্দসী মেঘের আড়ালে সভ্য মুখোশে বুনো পশুদের গর্জন,
এই আলোকিত কৃষ্ণ গহ্বরকে পিছনে ফেলে তোমার যাত্রা অনন্তে
অশ্রুসিক্ত চোখে ফিরে ফিরে প্রশ্ন জাগে – ন্যায় বিচার হবেতো?