প্রভাতের ভয়ে প্রতিনিয়ত যখন কাঁদে নিশীত সূর্য
শিল্পের স্থর হতে এক এক করে নামে সেইসব লোকচিত্র......।
অবসন্ন এ জীবন, ধূলোর প্রবাহে আকাল ঢাকে সামনে
আলোর দেখায় থর থর কাঁপে মেঘেরা কালো আকাশে
মাতাল সময়, গৃহ ছুয়ে শূন্যে খোঁজে এান
ছিন্নমূল মানবতা, শিকারী শকুনের ঝাক, খুজে ফিরে মর্ম বাক।
স্রোতকল্প দোলা, ভুড়ী-ভোজনে মনে আসে দুধের শপথ
পৌরস্বপ্ন বিব্রত শুধু, ব্যথতাগুলো সব ধাবমান ক্রমাগত
সুদীর্ঘ রাতে চেতনা ধূলো হয়ে ঢাকে কতো সহস্র প্রমাণ
অদেখা স্থাপত্য, মহাবিশ্ব, বনজোৎস্না আর সমুদ্র অন্নেষণ
এ দাত্যব্যের শূন্যতা পৃথিবীর অনুচ্চ আর্তিরই প্রতিফলন
ঘন ছায়াতলে ফুটে উঠে জোনাকীর আলো, দুরবতী জীবন খুঁজে
এখানেই আকাশ, কাছে আসছে দুরের পাহাড়
অন্ধকারে যুগ যুগ, শ্রাবণ জুড়ে থাকে বারোমাস।
পৌরনিক প্রথা চিরন্থণ আবহে করে স্থাপত্যের বিরোধীতা
সূর্যাস্থ ছায়ার আয়তনে জীবনের রঙ্গিন ছবি আজ কালো সাদা
শোষকের ললাট রক্তাক্ত আজ শোষকের বুকে রক্ত বন্যা
সহস্র প্রমোদ, ব্যাখ্যাহত রণতরী, আগ্রাসনের এই বিশ্বায়ণ
কল্পলোক কাঁদে ভ্রান্থিতে, ভ্রমরেরা মাতে মেলার বাসরে
গুমোট আর্তনাদ, সঞ্চিত ব্যাথা- সঙ্ঘদলে কাঁপে শিল্পের ভাস্কর্য
অন্ধকার বন্ধনার ক্লেদাক্ত চর্চা, মিথ্যা প্রতিস্রুতির এই জন্মলগ্ন
এ কোন জীবনগ্রাহে, শভোন সব-রীতির লঙ্গনের উত্তাপ আগত
ছায়াদেহ সব, পেতাত্নার সাজে সুদীঘ রাতে করে কলোরব।
স্বপ্নদ্রষ্টা বৃক্ষের ছায়াতলে, কটাক্ষ ঝড়ে দেবতার ক্রোড় হাসিতে
ললিতকথন, মৈত্রের বধূরা চাদর বিছায় প্রীতি, সোহাগে
আগ্রাসী ললাট আর নিগৃহীত মানবতার কাপণ্য হোতায়...হোতায়
বিষমচিন্তার সূযবিচ্ছুরণে ম্লান দুদ্ধমধু সূর্যাস্থ
রৌদ্রস্নাত পল্লীতে অনুরাগ তাই, শিল্পভাজে তীব্র রাগীনি
ধূলিমলিন এ জীবন, হাজতের মতো সব মাতৃহীন
নদীর জলে সমুদ্রের ঘ্রাণ নিতে বনস্থলীর চক্কর মৃত্যুময় |
এখনওতো প্রতি সপ্তাহান্তে বসে কতো- বুদ্ধিজীবী সমাচার
সমাজপতিদের স্বীকৃতি নিয়ে আত্নপ্রকাশ করে কতো নীতি কালচার।
ঘোর কাটলেই একাগ্রতা ভেঙ্গে প্রাথণা জাগে জগৎ সংসারে
“কুহেলিকা বাজাও বাঁশি, হিরম্ময় সকাল আজ দ্বারে
গৃহস্বামী জাগো, জাগো গো, দেখো এ কন নদী বয়ে যায়
মৌরীর ঘ্রাণ বন্ধ হোক খোঁজা, কুশল হোক লজ্জায় ... লজ্জায়”।