মাসখানেক হয়ে গেল কবিতার আসরে। অনেকদিন ধরেই মনে মনে খুঁজছিলাম ঠিক এমনি একটা কিছু। হয়তো কাকতালীয়- কিন্তু বাংলা-কবিতা ডট কম একেবারে আমার মনের চাহিদার সাথে খাপে খাপে মিলে গেছে। অতএব, বাংলা-কবিতা ডট কম জিন্দাবাদ। এখানে এসে প্রখ্যাত অখ্যাত কবিদের ভীড়ে নিজেকে মিশিয়ে নিতে পারার আনন্দ আমার কাছে একেবারে অনাস্বাদিত একটা কিছু- আবেশ আর কাটছে না।
এবার আসা যাক নিজের প্রসঙ্গে, আছিই যখন, অজ্ঞাতকুলশীল হয়ে থাকা কেন- এটি এই আসরের একটা অব্যাক্ত দাবীই হোক আর না হোক, স্বতপ্রণোদিত হয়েই এগিয়ে এলাম।
আমার জন্ম ভারতবর্ষের পুর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ত্রিপুরায়, রাজধানী আগরতলা থেকে ২০০ কিমি দুরের এক মফস্বল শহরে, যার নাম কৈলাশহর, ১৯৭৮ ইংরাজীতে, বেড়ে ওঠাও ওখানেই। কারিগরী শিক্ষায় স্নাতক হলাম এই রাজ্যেরই একটি মহাবিদ্যালয় থেকে। এখন ত্রিপুরা সরকারের শিল্প বানিজ্য দপ্তরে আধিকারিক হিসেবে কাজ করছি গত ১০ বছর যাবৎ। অতএব, ছোট্ট এই রাজ্যটির রূপ, রস, গন্ধেই আমার অস্তিত্ব।
একটা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল ছোটবেলা থেকেই ছিল আমাদের বাড়ীতে। বাবা, মা, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত, তখন যথাক্রমে ব্যস্ত অধ্যাপক ও স্কুল শিক্ষিকা। উত্তরাধিকারেই পেয়েছি, বলা চলে, সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি প্রবল অনুরাগ। আর কবিতা লেখার কলমটি হাতে ধরিয়েছিলেন, মা, খুব ছোট্ট বয়সে। তবে, আমি মুলত একজন মুগ্ধ পাঠক- যেকোনো বাংলা লেখার।
ছো্টবেলা থেকেই লিখে চলেছি, অবশ্য খুবি অনিয়মিত ভাবে, নইলে তো এতদিনে পাহাড় জমে যেতো,-হা হা। জীবনের নানা ওঠাপড়া নানা সময়ে ভীষন ভাবেই নাড়া দিয়েছে আমাকে, বছরের পর বছর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে কলম- এমনকী বিবেক অবধি। অবশ্য, নানা সময়ে কলম থেকে যা বার হয়েছে, তাদেরকে আমি সার্থক কবিতা বলে মনেও করিনা, তবে তারা আমার সন্তান তো বটেই। তবে আমি এক অনন্ত শিক্ষানভিশ, শেখার বয়স আমার না ফুরাক!
শেষমেশ, বাংলা-কবিতা ডট কমের প্রতি সর্বাঙ্গীণ শুভকামনা রইল, এমনই প্রেরনাময়, শিক্ষনীয়, সুন্দর পরিবেশ বহাল থাক সবসময়, মেঘের কোলে লুকিয়ে থাকা মাননীয় এডমিন মহোদয়ও এখনকার মতোই সজাগ দৃষ্টি রেখে যান সতত, সাধুবাদ জানালাম।
অর্ধেক জীবন করে এসেছি পার, বাকি অর্ধেক জীবন যেন কবিতার হাত ধরে থাকতে পারি... সবার শুভেচ্ছা থাকুক।