অভাবের কাতরতা
কে বা বুঝে না দেখে,
ফুরিয়ে আসে দৃঢ়তা
ক্লান্তির ছাপ মেখে।

দিন আনি দিন খাই
কি বা আছে এ কথা কইতে,
জীবন স্রোতে সময় যায়
অসহায়ত্বের যন্ত্রণা সইতে।

বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনায়
থাকি এক অট্টালিকাতে,
ক্ষুদ্র কড়ির ধনাগমে
দমে আছি দুরাশা গ্লানিতে ।

দীনতা ও সংশয়ে যাহার
ছাতের গড়ন খড়ের গাদায়,
পাঁচিলের গড়ন ছনের গাদায়,
নিপাত হউক তার-
যে বলে এটা চড়ুইয়ের অট্টালিকার।

আছে এমন অনেক জন
গড়িয়েছে বিশাল অট্টালিকা,
অপরের কড়ি করে শোষণ
বাড়িয়েছে পয়োধির মত মৃত্তিকা।
বলে না তখন কেউ,
এটা চড়ুইয়ের অট্টালিকা।

ছানি পড়েছে তার নয়নে
দেখিতে পারে নাহ সত্য,
কিংবা জানে সবি
মিছে মিছে আশায় সুপ্ত।

যে ডুবে আছে দিবা স্বপ্নে
জাগ্রত করও তাকে,
নতুবা আসবে না ফিরে
নিদ্রার বাহানা থেকে।

ওঠো হে জাতির বীর
মনে আকিঞ্চন নিয়ে,
দেখ এই মহাজাগতিককে
পরিশ্রম আর নিষ্ঠা দিয়ে।
কেবল তবেই খুঁজে পাবে
বাস্তবতা আর সত্যকে।

চারিপাশের কঠিন নিরবতায়
ভয় পেলে চলবে না,
গড়ে তোলো সাহস দৃঢ়তা
পিছনে থাকানো যাবে না।
মনে রেখো শেষতে
হে জাতির নির্ভীক-নির্ভীকা,
অন্যের কষ্টে গড়া কুঠিতে
গড়িও নাহ চড়ুইয়ের অট্টালিকা।