কোথায় আহার, এই ধরণীর বুকে
খিদে পেয়েছে তীব্র
কতদিন হলো, না খেয়ে আজ
যন্ত্রণায় কাতর গাত্র।
খিদের চোটে কাঁপতে কাঁপতে
চক্ষু খুঁজে অন্ন,
পথে পথে ঘুরে ক্লান্ত সেথায়
এক মুষ্টি, আহারের জন্য।
খুঁড়ে খুঁড়ে আমি অভাবী পথিক
নেই ভালো-মন্দ বস্ত্র
কোথায় পাবো আবরণ দিতে
এই জীর্ণ-শীর্ণ গাত্র।
শীতের আমেজে মূখরিত সবে
নেই আমেজ এই নির্ধনের,
শীত বস্ত্রের পাহাড় গড়ে
তবুও তৃপ্তি জুটে না মনের।
নেই গো ঠাঁই, গা জড়াবো কোথায়?
এই শূন্য কোঠার বাড়িতে,
দু নয়নে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনে
জুটেছে তবে এক রাস্তাতে।
মাথা গোঁজার নেইকো ছাদ
নেই উপায় এই ধরে,
ঝড় গেলো, ঝঞ্ঝা গেলো
ভিজে ভিজে আজ থরথরে।
অভাবীর আজ দীক্ষা কিসের
পেশা দিয়ে হয় বিবেচনা,
জ্ঞানের সিঁড়ি বেয়ে উঠে ও
অপরের ঘানি টানা।
জীবন যুদ্ধে জয়ী আমি
দাপটের ভয়ে বিপন্ন,
শিক্ষার জগৎ হাস্য রসে
জ্ঞানীর অভাবে শূন্য।
সেদিন খুব জ্বর এসেছে
হাজার টাকা ফেলো দর্শনী
ডাক্তার বাবু, হবে কি নিরাময়?
এই নাও ওষুধের পথ্যনি।
ডাক্তার বাবু কম হবে কি?
বসতে দিলে শুইতে চাস ব্যাটা,
ফেলো কড়ি মাখো তেল
নয়-ছয় করিলে খাবি ঝাটা।
জীবন তো ভয়েই গেলো
বিনোদনের বড়ই অভাব,
চাহিদা থেকেও অপূর্ণ সবি
হাত পেতে গেলো স্বভাব।
জীবন এক যুদ্ধ ক্ষেত্র
সময় গেলো লড়াইয়ে,
হঠাৎ করেই থেমে আবার
আমি এক দণ্ডে দাড়িয়ে।
(১. খাদ্য, ২. বস্ত্র, ৩. বাসস্থান, ৪. শিক্ষা, ৫. চিকিৎসা, ৬. বিনোদন) প্রত্যেক ৮ লাইন ৬ টি মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে মন্তব্য ।