আমি আমার পাথর বুকে গাঁইতি- শাবল চালিয়ে
শিরা, উপশিরা, ধমনীর কাছে জোরপূর্বক
রক্তের সেচ নিয়ে
কলমের ফলা চালাই নিজের ত্বকে, পেশির ভাঁজে ভাঁজে।
প্রতি কোষে কোষে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত অনুভূতির কর্ষণে
নিষ্পেষিত আমি;
মস্তিষ্কের নিউরন ছিঁড়ে
শব্দের বীজ বুনি।
তারপর ওরা আমার মেটে শরীরে কী নিদারুণ যাতনায়
শেকড় ছড়ায়!
আঙুলের ডগা ফেটে ঝর ঝর করে প্রাণরস আর রক্তের ঝরণা নামে
ভিজে যায় আমার দেহলিজ,
শাড়ির আঁচল, মাঝে মাঝে সাদা কাগজ।
অক্ষরের এই যন্ত্রণা
শব্দের এই আবাদকে
তুমি নেহাত সাহিত্য বলে মলাটে বেঁধো না,
স্রেফ কবিতা বলে উড়িয়ে দিয়োনা ধ্বনির বাতাসে।
আকাশ সমান অভিমান,
পাহাড় সমান যাতনায়
চুরমার হয়ে যাব.......
আমার শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে
সহস্র গ্রেনেডের স্প্লিন্টার হয়ে,
চিন্তার সূর্য পরিবারে জন্ম নেবে আরো কিছু বোহেমিয়ান গ্রহানু
আর তাদের তুমি কোনদিন কোন কক্ষপথে ফেরাতে পারবে না।
মুহিব্বি,
তারচে বরং একবার বুকে জড়িয়ে ধরো,
আমার এই যাতনার আবাদ ঘরে উঠুক।