যেমন করে তরুণ অশত্থ গাছ অনন্ত দৃষ্টি নিয়ে আকাশ দেখে এক জীবন পার করে,
যেমন করে আকাশটা আজীবন দেখে গেল
প্রশান্তের নীল ঢেউ,
যেমন করে চশমার কাচ চোখ থেকে আলোকবর্ষ দূরে
কিংবা যেমন করে আমি কখনো ছুঁতে পারব না
নিজের মস্তিষ্কের নরম অবয়ব,
ঠিক তেমন করে তুমি আমার থেকে দূরে।
তোমার ছবি
আমার ঘরজুড়ে দেয়ালিকা তোমার প্রেম,
ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, অক্ষরে,
তোমার পায়ের ছাপ!
আমি সৃষ্টিকর্তার নামে শপথ করে বলতে পারি,
এক জীবনে তোমার মুখের পানে চেয়ে
আর কেউ এমন মিলিয়ন বিলিয়ন মূহুর্ত পার করেনি।
আমি বুকে হাত রেখে পৃথিবীকে জানান দিতে পারি
আমার মতো, হ্যাঁ আমার মতো করে
কেউ কোনদিন তোমায় এতটা তিতিক্ষায় ভালোবাসেনি।
কেউ কোনদিন এতটা তীর্থের কাক হয়ে
কন্ঠের অপেক্ষায় অকাল বধির হয়নি!
আজকাল তোমায় বড্ড ছুঁতে ইচ্ছে করে।
ইচ্ছে করে তোমার শরীর আর মনের প্রতি মিলিমিটারে
আমার অনন্ত মহাকাব্যের এক একটা পর্ব অশ্রুসিক্ত অদৃশ্য ক্যালিগ্রাফি করি।
আমি পরোয়া করিনা নিয়মের
মানিনা কারো শাসনের অধিকার।
আমার এক জীবনের সমস্ত চাহিদার যোগফলে
শুধু মুহিব্বির নাম,
কেবল আমাদের শব্দের সংসার।
তরুণ অশত্থ গাছ, আকাশ কিংবা সাগর
ওরাও মিলে যায় স্বপ্নের আঁধারে।
আমিও তোমায় পাবো ডলফিন,
নিশ্চয়ই পাবো কোন এক সময়ের সাঁতারে।