শঙ্খচূড়,
তোমার চোখের মায়ায় পড়েছি কতবার!
কতবার আমার ইচ্ছে করেছে ঘরদোর ফেলে
চলে যাই তোমার নিকুঞ্জ ছায়,
না বুঝে ফিরায়েছ
বেভুল অবহেলায়।

ফের পথ আগলেছে আমার মেরুদণ্ড,
আমার অভিমানী কশেরুকা,
কোনদিনই বোঝনি কী চায় এই শঙ্খিনী,
এই অন্তর্মুখ অনামিকা।

তর্কের জালে প্রেম আটকায়নি কভু।
অবহেলায় মুগ্ধ হয়নি কোন নারী
কোন কালে।
ব্যস্ততার খোলস ছেড়ে
কোনদিন প্রেমিক হয়ে দেখো
আমিও দিতে পারি প্রেম, নির্বিচারে।

হতে পারি ছায়া,
হতে পারি মায়া,
লাজুক লতাও হয় প্রেমাকুল ভীষণ বেহায়া
যদি মন জিতে নাও।

এ মনের আনাচে কানাচে কত শত ক্ষত
কত অবিশ্বাস ঠাসা
কিভাবে বাঁধবে বাসা নিখাদ ভালোবাসা?
হাত ধরে কখনো দিয়েছ আশ্বাস?
কখনো হয়েছ দম-আটা দিনে লিলুয়া প্রশ্বাস?

একটা বিকেলও কী ছুঁয়েছো হাত?
টুকটুকে একটা গোলাপ?
কিংবা কপাল ছোঁয়া চুমুর আদরে
তুমি-আমি, আমি-তুমি নিখাদ আলাপ?

দু পা এগিয়ে এলে
হয়ত পেতে অমোঘ প্রেম
পেতে নতশির নারীর মহিমা।
বিষাক্ত শঙ্খিনীও প্রেমাতুর হয়
যখন আকাশ জুড়ে রাঙা পূর্ণিমা।

যে মন প্রেম জানে
তারই আছে অভিমান
টইটম্বুর......
সময় পেরোলো ঢের
তুমি শুধু বুঝলে না,
অবুঝ শঙ্খচূড়!