মস্তিষ্কের উপর সমস্ত পৃথিবীর ভার নিয়ে
আমি সরে এসেছি।
যেদিন জেনেছি এ মহাকালের কাছে
তুমি হাত পেতে চেয়েছ ভাঙন,
খুঁজেছ নিষ্কৃতি মনের শেকল থেকে,
বলো, কেমন করে থেকে যাওয়া যায়?

যেন সহস্র অব্দ আমি শুনিনি তোমায়,
আমার কানের তরুনাস্থি বালির মতো
ঝুরঝুর ভেঙে পড়ছে।
মস্তিকে চলছে কুরুক্ষেত্র বিশাল,
সারাটা গায়ে সকাল সন্ধ্যে চাবুক পেটাচ্ছে কেউ!
যেন আমি কোন সায়ক বেঁধা পাখি
কিংবা বাসের চাকায় মাত্র পিষে গেল
কোন ফুল বেচা শিশুর মাথা!
যেন জ্যান্ত হাতের তালুতে
সহস্র পেরেক গাঁথা!
বলতে পারো ঠিক কোন শব্দে আমি ঠিকঠাক
বলতে পারি; কী হচ্ছে আমার.....

প্রেম শুধু প্রেম চেয়ে
পেলাম আগুন, পাহাড়, জল।
দূরত্বের শৈত্যে নিঝুম হয়ে গেলাম আলিঙ্গনে
পোড়ালে অহং তাপে.....
জিতে নিতে চাইলাম বলে
হয়ে গেলে এভারেস্ট চূড়া।
তারপর কত দিন, রাত, প্রহরের পর প্রহর
আমি অদৃশ্য সিড়ি বেয়ে পার করলাম
তুমি হয়ে গেলে কুহুক
পা ফসকে এখন আমি অন্ধকার কূপে....
নিতান্ত অসহায় রূপে
দিন গোনা হাহাকারে।

সমস্ত পৃথিবীর যাতনা কাঁধে নিয়ে
আমি ফিরে এসেছি,
শেষ কড়া নেড়ে
যখন জেনেছি তুমি আকাশের পানে চেয়ে
পানাহ্ খুঁজেছ,
বলেছ আক্ষেপে, চাইনা, চাইনা প্রেম।

ভালো থেকো বলার আমি কে?
যখন তুমি নিজেই বেশ জানো
দূরত্ব দেয় স্বস্তি তোমায়।
প্রচন্ড বুভুক্ষু আমার প্রাণে
দেখেছি যখন এক প্লেট অবহেলা সাজানো,
বলো, কেমন করে থেকে যাওয়া যায়?