দু ডানায় স্মৃতির পাহাড় নিয়ে
অবসান্ত ফিরে এসেছে
শিশুগাছ শালিকের কাছে.......।

সবুজ গ্রামের আবেগ নিয়ে হঠাৎ
প্রজাপতি উড়াল দিলো
যানজট স্ক্রাইস্ক্রেইপার শহরে।
সাঁইসাঁই বাতাসে কানের পাশ দিয়ে উড়ে গেল
ফ্লাইওভার, আলোর সেতু কিংবা
ল্যাম্পপোস্ট নিয়নের অহমিকা।
হবে তার স্বপ্নের সাথে দেখা!

একটা সরু বেলকনি,
একটা জানালা যেন শহরের সমস্ত হিমেল হাওয়া
ছিনিয়ে এনে
শান্ত করেছিল হৃদয়!

অই ঘর অই প্রজাপতি সংসার,
কয়েক প্রহরে লিখেছে
অনন্ত মহাকাব্য!
নাব্য হৃদয় পেয়েছে দুরন্ত উন্মেষ
ছুঁয়ে এসেছে সে দেয়ালের দেশ
প্রেম সবিশেষ,
ইট সুরকি কিংবা মোহের কাপুনি
মস্তিষ্ক শুদ্ধ করা প্রবল আযানের ধ্বনি......


দেখে এসেছে অই ঠাস-বুনোটের শহরেও
কী দারুণ সূর্য ওঠে!
যেন ডিমের কুসুম
উপচে পড়বে আকাশ বেয়ে
আলতো মিষ্টি হয়ে যাবে সমস্ত শহর...

টের পেয়েছে
সুবহে সাদিকের হিমেল কী প্রবল আত্মবিশ্বাসে
উড়িয়ে নিয়ে যায় রাতভর নির্ঘুম ক্লেশ,
তখন ভীষণ আপন লাগে প্রাচীরের দেশ।

কচুপাতা শিশির টলমল,
ইটপাতা রাস্তার ভাঁটফুল
বুকে নিয়ে এক পুচকে প্রজাপ্রতি
উড়ে এসেছে সমস্ত শহর.....
ফেলে এসেছে ডানার আবির
অই ঘর দোর, মায়াবী সংসার,
টিক টিক ঘড়ির কাঁটায়.....  

হায়! আলাভোলা প্রজাপতি
চিনে গেছে স্পর্শের জ্যোতি!
সমস্ত পৃথিবীর দামে
সে কিনে নিতে চায় অমন আকাশ।
অই গগনচুম্বী ব্যস্ততার ভীড়ে কিংবা
প্ল্যাটফর্ম বিলম্বিত অপেক্ষায়
এক মুখ নির্ঘুম বিষাদে
প্রেমিকের বুক।
কী তীব্র তার প্রেমের অসুখ!

দূর্বা'র শিশিরে স্নান করা
এক উদাস প্রজাপতি
নিয়নের আলোতে দেখেছে নিজের ছায়া,
বুকে তার জমে গেছে
ইট-কাঠ-পাথরে লুকোনো পারিজাত মায়া।
ফিরে ফিরে চাইছে অমোঘ স্পর্শ জোয়ার,
আবেশে জড়ানো এক মায়ার সংসার!