মধ্যবিত্তের বসার ঘরে
কাঁচের যে ফুলদানি সযত্নে
বহুবছর সাজানো কিংবা
দক্ষিনের জানালার পর্দা
লুপ্ত আলোছায়া গৌরব
ঝুলে আছে বহুকাল,
আলমারিতে মায়ের শাড়ি দেখে দেখে,
বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাবার ভয়ে কুঁকড়ে থাকা মেয়েটা আলগোছে যে স্বপ্ন বোনে,
ঠিক তেমন একটা মধ্যবিত্ত বিষাদ
আমার চেহারায় প্রলেপ ফেলেছে, দ্যাখো!
আমার চোখের মণির ঠিক পাশে
স্যাঁতসেঁতে মাটি!
আকাশকুসুম কল্পনায় চারা পোঁতা কিছু এলাচের গাছ আর
অবহেলায় দুপুরমণির ঝাড়
টকটকে অনিদ্রা লাল ফুল!
বুকের বা পাশে রোদে গরম-জল-পুকুর
কিছু নীলকন্ঠ পাতিহাঁস
ইলশেগুঁড়ির কথা ভাবছে!
পুরোনো আলমারিতে ন্যাপথলিনের মতো
এ বেঁচে থাকা যেন ভীষণ প্রয়োজন।
সোনাদানা কিংবা হীরে নয়
আগলে রেখেছি আবেগের শেষ শ্যাওলা পিতলবাটি
প্রাগৈতিহাসিক ঐতিহ্য!
পুরোনো পর্দার মতো,
পেতলের ঘটির মতো,
মায়ের পুরোনো রাজশাহী সিল্ক শাড়ীর মতো,
বিবর্ণ বেতের সোফার মতো
একটা গম্ভীর ঠান্ডা বিষাদ আমার চেহারায়
সেঁটে আছে।
সূর্যের চাইতে সুন্দর, মুহিব্বি আমার.......
রোদ ছড়িয়ে অন্তত একবার জ্বলে ওঠো!