আষাঢ় মাইস্যা রোদে দাঁড়িয়ে
উপর্যুপরি কর্ষিত দেড় বিঘা ধানী জমির দিকে তাকিয়ে,
মনে হলো সে কোন মাটি নয়
যেন পঁয়ত্রিশ পেরোনো কোন মধ্যবিত্ত নারী!

গৃহের ব্যস্ততায় সূচিকাজে,
পরোটার ভাঁজে,
যে অবলীলায় বাঁচে......
যার শরীর জুড়ে মেনে নেবার ছাপ
ভুলে যাওয়া পাপে বেরং আঁচল
উবে যাওয়া প্রেমিকের মোচড়ানো শেষ চিঠি
চলে গেছে ডাস্টবিনে!
থেকে গেছে উদাস পরাণ,
যে বেঁচে আছে মরার সমান।
মশলার বাটিতে বাটিতে স্বপ্ন জমিয়ে
যে ভুলে যাচ্ছে মেহেদী কিংবা আলতার রঙ।
ছানাপোনা আর ছাপোষার সংসারে
সে এক নিরিবিলি উপাখ্যান।

প্রতিবার সবুজ, প্রতিবার ফসল,
চাষের ক্রীতদাস।
যাকে আমরা স্থিতধী জমিন জানি
হয়ত আড়ালে সেও জীবন্ত এক লাশ।

কত কিছুই আমরা দেখেও দেখি না......