এইযে তুমি ল্যাপটপ স্ক্রিন থেকে
নিউরন অব্দি আপন রাজত্ব কায়েম করে বসে আছো,
কখনো এক মূহুর্তের জন্যেও ভেবেছ কি
আমি কেমন করে বাঁচি?
কেমন করে প্রত্যাখ্যাত নসিব মাথায় করে
অবলীলায় জীবনের জুম চাষ করি?
প্রতিদিন কেমন করে মরে যাই,
শুকনো ভুট্টার আঁশের মতো জ্বলে যাই,
অনেক রৌদ্রে ফিঙের মতো অস্থির, ভীষণ অস্থির
দিনাতিপাত করি!
এক জীবনে কোনদিন কি তোমার
সময় হবে,
আমার মাথার উপর নিদেন খড়ের চাল হবার!
জানালার দূর্বল লোহার শিক পেরিয়ে
আমার আহত বুকের উপর জ্যোৎস্নার মতো
সারারাত গলে পড়বার।
পৃথিবীর সবক'টা বিশুদ্ধ চাহিদা জেলবন্দি,
রাস্তায় রাস্তায় যত মিছিল দেখছো,
সব মিথ্যার, স্বার্থের স্লোগান নিয়ে তাড়িত।
এর মাঝে আমি ভীষণ স্রোতের বিপরীতে
নিস্তব্ধ চা-বাগানের
নিগুঢ় অন্ধকার,
স্তব্ধ দুপুর,
শুকনো নদী
আর ডায়েরির পাতা নিয়ে অপেক্ষমান।
এর মূল্য কে দেবে আমায়?
পারিজাত মুহিব্বি আমার,
তোমার হাসির জল-গোলাপ
বাতাসে ছড়িয়ে দিক অমোঘ সুবাস।
এই মরে যাওয়া, জ্বলে যাওয়া
ছাইয়ের মতো গ্রহে
তুমি রজনীগন্ধার সমার্থক হও।
তারপর না হয় নাইবা ভাবলে,
তোমায় ছাড়া আমি কেমন করে বাঁচি.......