আমি আমার নাম রেখেছি শঙ্খিনী,
কখনো এঁকেছি বুকে আগুনপাখি।
আমি নেমেসিস,অপরাজিতার নেত্র ধাঁধানো নীল।
আমি গিরিখাত, ভয়াবহ সর্পীল!
দু-চারটে অগ্নিগিরি হাতের তালুতে রেখে
আমি ভর দুপুরে আয়নায় ড্রাগন দেখি।
সাহারা আঁচলে আমি প্রকান্ড ডলফিন,
লিলিথ আর মেডুসাকে বাঁকা চোখে দেখিনি কোনদিন......।
আমি চকচকে কালো ঘোড়া
অন্ধকারের পাহাড়ে টগবগে দৌড়েছি সারারাত,
দিনে ঘুমিয়েছি সাঁতারু হাঙরের পিঠে ছড়িয়ে দু হাত
উষ্ণ জলের রোদে!
ঘুম ভাঙেনি কোন জল-দানো নিনাদে।
সমুদ্রের নির্মম খাদ আমি
সরে যাও, সরে যাও।
মধ্যগগনের আগ্রাসী মিহির
অই নগ্ন নাওয়ের পাল পুড়িয়ে দেব সহাস্যে!
এই নুনপোড়া সমুদ্রে
এক বিন্দু জল তুমি পাবেনা
সুস্মিত ভাষ্যে!
জল নেই, জল নেই, রাজম্ল সব!
ছারখার করে দেব আয়নার বৈভব।
আমি নিষ্ঠুরতম নারী পৃথিবীর ইতিহাসে,
যে কিনা কেবল তলওয়ার ভালোবাসে।
কালবৈশাখী কাজল চোখের কোলে,
ফাঁসির দড়ি আমার হাতের কালিরায় দোলে!
গায়ে সয়ে গ্যাছে সব সব
লতাপাতা শোক,
এখন দৃষ্টিতে পুষি ড্রাগনের লাল চোখ।
উড়ে যাও, দূরে যাও, এসো না কিনারে।
সাঁতার শিখে গেছি আমি আগুন- সাগরে........