কোন এক নগ্ন নির্জন অন্ধকারে
মাংস চর্বি ভুলে,
ছুঁয়ে দেখো আমার ঠকঠকে সাদা কংকাল।
চুমু খেয়ো করোটিতে
অনুভব কোরো মগজের শিরা উপশিরা।

অথবা গুণে দেখো সব কটা হরমোন,
কে কটা তলওয়ার নিয়ে
আমার সমস্ত শরীর জুড়ে
মতভেদের যুদ্ধ চালায়!

শরীর ছুঁতে মানা করিনি তো!
তুমি আমার প্রেমিক পুরুষ,
অনন্ত স্বামী।
তবে কেন শুধু দু চার খাবলা মাংসেই গল্পের ইতি জ্যোতি?
কেন টানটান ত্বক নিয়ে এত টানাটানি?
ছুঁয়ে দেখো পাঁজরের হাড়, কশেরুকা
অথবা শশব্যস্ত ফিমার......
সেই কবে থেকে আমি হাঁটছি, দৌড়াচ্ছি চক্রাকারে
নেবুলা আমাকে ইঁদুর বানিয়ে ছেড়েছে।

স্পর্শ যদি সত্যিই মানবী করে তোলে
তবে কেন নয়?
তবে কেন নয় হৃদপিন্ডের প্রতি আনুগত্য।
কেন নয় যকৃতে সুপ্রাচীন সতেজ রক্ত-নিলয়?
কেন শুধুই দু-চার খাবলা মাংসের কেজিদর?
সবগুলো হাতে কেন দর্জির ফিতে?

যা ছিলনা,
যা আছে,
যা থাকবে,
যা পচবে চাটাই নিচে
সবই তো আমিই, তাইনা?

ছুঁতে চাও?
আলবাৎ ছোঁবে!
এই নাও
আমার জোড়াতালি করোটি, ক্লান্ত ফিমার, প্রাগৈতিহাসিক ব্রেন-ফগ কিংবা  সাঁঝ-কালি চোখ, ইনসোমনিয়ার উদ্বেগ.......


ও কি গো!
সব ছেড়ে তুমি শুধু ত্বকটাই নিলে?
বেক্কল কোথাকার!