সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী,কাঁটাবন-কাঁটাতার পেরিয়ে-
প্রকাশ্যে চোরাচালান হয় নন্দনতত্ত্ব,
মাদক আসে,পাচার হয় নারীর নূপুরধ্বনি।
জল প্রকল্প ভেসে যায় জলে,
বিবাদে জড়ায় সংযোগ সড়ক।
কুমিরের জন্য প্রস্তুত যতো নদী-খাল
ফুল-পাখিদের পায়ে পায়ে শৃঙ্খল।
শরতের আকাশে শকুনের আনাগোনা বাড়ে,
ধর্মের কল তীব্র বাতাসেও নড়ে ওঠে না।
টেকসই উন্নয়ন,নদী শাষনে দখল হয়ে গেছে দুই তীর,
দহগ্রামে স্থির হয়ে আছে সীমান্তবর্তী অলস দুপুর,
উজানের শুনশান হাওয়ায় উন্নয়নের গালগল্প নেই,
অবসরে পাঁজরের হাড় গুনছে খেটে খাওয়া মানুষ।
অল্প জলে ভুগছে নদী
মরা নদীতেই মরতে আসে কেউ কেউ
অদূরে চোরাবালির চিকচিক ভ্রম,
তার গভীরে নির্মম ঘোলা জলের ফাঁদ।
আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েই চলেছে-
বেঁচে থাকার প্রাণপণ চেষ্টার মত জেগে থাকে মায়া,
তবুও লাশের পায়ের চিহ্ন মুছে ফেলেছে জলপথ।
ভাটি থেকে চিঠি আসে - লাশকাটা চরে,
পোকায় খেয়েছে ক্ষেত,ডুবে গেছে ভোগডাবুড়ির ভাসা চর,
জ্বর বাড়ছে -
মায়ের অসুখে পুড়ে যাচ্ছে বাবার শরীর
আয়ুর পতনের দিকেই বইছে দূষিত বাতাস।
আকাল একটা তৈলাক্ত বাঁশ-
অথচ দারিদ্র্যের কোনও খাঁজকাটা পা নেই।
বিচ্ছেদের চেয়ে মৃত্যুকষ্ট অপেক্ষাকৃত মৃদু,
প্রেমিকার দীর্ঘশ্বাসে স্থির হয়ে আছে সাদা মেঘের ভেলা
উদাস আকাশে দারুণ রোদ নাই হয়ে যাওয়া ঝিমানো দুপুর।যতো অভিমান পুষে রাখে ঋতু,এমনও দিনে-
গোপনেও আসে নাই শরৎকাল
লুকিয়েও ফোটে নাই ধারে-কোনও কাশফুল
ঘ্রাণ ছড়ায় নাই,মনে-বনে-উপবনে কোনও শিউলি-বকুল।প্রথম প্রেমের মতো-
শরৎ একটা ভ্রম,কাশ মিথ্যাফুল।
১৫/১০/২০২১
লালবাগ। ঢাকা।