ষড়ঋতুর লীলাক্ষেত্র আমাদের এই বাংলাদেশ,
একের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্য পরিবেশ।

গ্রীষ্মকাল শুরু হয় বৈশাখ,জ্যৈষ্ঠ নিয়ে,
মাঠ-ঘাট চৌচির প্রচণ্ড রোদ দিয়ে।
নদীর পানি,পুকুর,জলা যায় শুকিয়ে কিছু,
গাছে গাছে পাকে ফল আম,কাঁঠাল,লিচু।

আষাঢ়,শ্রাবণ নিয়ে আসে হঠাৎ বর্ষাকাল,
অবিরাম বৃষ্টি দিয়ে ভরিয়ে যায় খাল।
বাগানেতে ফোঁটে ফুল কেয়া,কামিনী,
পুষ্পের সুবাসে সুবাসিত যামিনী।

শরৎকালের আগমন ভাদ্র,আশ্বিন মাস,
শিশির দিয়ে ঝলমল সকালের ঘাস।
নির্মল আকাশে শুভ্র জ্যোৎস্না রাতে করে খেলা,
শান্ত নীরব প্রকৃতির মাঝে কেটে যায় বেলা।

কার্তিক ও অগ্রহায়ণে হয় হেমন্তকাল,
শস্যক্ষেত্র পূর্ণতা পায় হরিদ্রাবর্ণ লাল।
হৈমন্তিক ধানে কৃষকের গোলা উঠে ভরে,
বুকে জাগে আনন্দের ঢেউ কোন অগোচরে।

পৌষ ও মাঘ মাসে আসে শীতকাল,
গাছপালা পত্রশূন্য শুকিয়ে যায় ডাল।
শীতের কাঁথা মুড়ী দিয়ে শীতের বুড়ি আসে,
সকালের কুয়াশা পড়ে সবুজ দূর্বা ঘাসে।

বসন্তকাল শুরু হয় ফাল্গুন,চৈত্রের আগমনে,
আকাশ বাতাস মুখরিত কোকিলের কুহুতানে।
বৃক্ষ পল্লবে কিশোলয় অপরূপ সাজ,
সব ঋতুর শ্রেষ্ঠ বসন্ত, তুমি ঋতুরাজ।

বিধাতার আপন হাতে গড়া এই ধন,
প্রকৃতির অপরূপ লীলা নিকেতন ।

০৮/০৯/২০০৬
কালীগঞ্জ