নীলক্ষেত রোড পার হয়ে একটু সামনে
ঢাবির প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছে
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ।
সগৌরবে কিনা জানি না !

আমি এই তোরণের ভেতর দিয়ে  হাঁটি না
পাশ কেটে ফুটপাত দিয়ে আসা-যাওয়া করি।
জানি না কেন?
তবে এইটুকু জানি,
দেশে যদি গণতন্ত্র থাকে তাহলে
এই তোরণের দরকার কি?
আর যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে
এই তোরণ বিদ্রুপের হাসি হাসে।

এইতো গত কয়েক দিনে দেখলাম
কত গলাকাটা লাশ।
তবুও চোখে পড়লনা কোন শকুন
তারা এখন পরবাস।
অবশ্য,১৬ কোটি শকুনের ভিড়ে
আমিষভুক শকুনেরা বিলুপ্তপ্রায়।
এই কয়েকটি লাশ
আমরাই পারব করতে হজম।

এইসব শকুনের দেশে
কয়েকটিমাত্র লাশে পোষায় না
নাইট ডিউটি কিংবা ওভার টাইম চলে
লাশের অপেক্ষায়।
আরও মৃত্যু চাই,আরও ডেডবডি চাই।
হয়তবা একারনেইআমি তোরণের ভেতর দিয়ে হাঁটি না।

তবুও স্বপ্ন দেখি,
হিংস্র শকুনেরা ফিরে আসুক মানুষ বেশে।
অতঃপর,
আমিও বুক ফুলিয়ে বিচরণ করতে চাই
তোরণের বুকে !

২৮/০৪/২০১৬
- ঢাকা