তুমি আসো খুব
নীরবে,উদ্বেল
শরীরে শুভ্র ছায়া
মাখানো কোন দুপুরে
সফেদ কাপড়ে
মোড়ানো দক্ষিনের
হাওয়া বুকে লয়ে,
খুব নীরবে,আমার
ভাঙ্গা হাড়গোড়,
পচা মাংশের শরীরে;
আবদ্ধ ঘরে!
যেখানে,সমুদ্র নেই
তটিনীর বুকে ঢেউ
নেই,খোলা আকাশ
নেই,রৌদ্র নেই, খর
তাপ-উষ্ণতা নেই,
শীতের গায়ে জড়ানো
কুয়াশা নেই, প্রকৃতির
মায়া নেই,কোন লজ্জ্বা
নেই-দেহে জড়ানোর
আলিঙ্গনের,পচা শরীরে
চুমু খাওয়ার ভয় নেই!
তুমি চলো আসো
জ্যোছনা মাখানো
কোন সন্ধ্যায় বা
রাতে,খুব নীরবে;
আমার ভাঙ্গা হাড়
গোড়,পচা মাংশের
শরীরে;আবদ্ধ ঘরে
দেহের সাথে দেহ,
রক্তের সাথে রক্ত,
প্রেমের সাথে প্রেম
মিশে যেতে,যেখানে
আর আমার একাকীত্ব
নেই,বৃষ্টি,আকাশ,মেঘ-
সমুদ্রব বা ভরা পূর্ণিমায়
জ্যোছনা দেখার আকাঙ্খা
নেই,শুধুই তোমাকে দেখা;
যেখানে মৃত অন্ধকারে
তোমার নিকনো শরীর
গলে গলে আমার শরীরে
মিশে যাবে, মৃত বলে
মানুষ যখন আমাদের
ভুলে যাবে তখন আমরা
মাটি হয়ে মিশে রবো
আদি প্রেমে অনন্তকাল।